মোহনা বিশ্বাস, কলকাতাঃ
হাতে আর মাত্র একটা মাস। তারপরেই দোলায় চড়ে কৈলাশ থেকে মর্ত্যে আসবেন মা দুর্গা। তাই এখন থেকেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে প্রতিবছরের তুলনায় এবছরটা একেবারেই আলাদা। ২০২০-র প্রত্যেকটি উৎসবই করোনার কাঁটায় বিদ্ধ। সংক্রমণ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে।
এহেন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দুর্গাপুজোতেও করোনা ভাইরাসের প্রভাব যে পড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু দুর্গাপুজো হবেই। অনলাইনে পুজো দেখার ব্যবস্থাও করবে পুজো কমিটিগুলি। স্বল্প আড়ম্বরে, জাঁক – জমকহীন হলেও করোনা আবহে বাড়ির পুজোগুলিও হবে। দুর্গাপুজো হল সার্বজনীন পুজো। বাঙালিদের পাশাপাশি ভিন্ রাজ্যের মানুষরাও এ রাজ্যে মা দুর্গা আরাধনায় কোনো খামতি রাখেন না। এরকমই ১৫ বছর ধরে দুর্গাপুজো করে আসছেন সল্টলেকের একমাত্র পাঞ্জাবি পরিবার, যাদের পুজো ‘কাপুর বাড়ির পুজো’ হিসেবে পরিচিত। এইবার গোটা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতির জন্য প্রাচুর্য কম কিন্তু উৎসাহ কম নয় বরং প্রতিবার এর মত এবারেও নিয়ম অনুযায়ী সব রীতি মানা হবে।
আরও পড়ুনঃ কলকাতায় চিত্রশিল্পের নতুন আঙ্গিক বডি পেইন্ট জনপ্রিয় হচ্ছে শৈলেশের হাতধরে
তাই ২২ শে অগাস্ট বেলা ১২ টায় কাপুর পরিবারে গণেশ পুজোর সাথে সাথে খুঁটি পুজোও সম্পন্ন হয়েছে। এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ও বিধাননগর থানার ওসি। এবছর কাপুর পরিবারের পুজোর থিম একেবারে সাবেকিয়ানায় তৈরি । থিমের নাম ‘দোলায় চড়ে উমা এল ঘরে’। পাঞ্জাবের অমৃতসরে জন্ম কিন্তু কোলকাতায় বেড়ে ওঠা, তাই বাংলার সংস্কৃতির সাথে এই অবাঙালি পরিবার ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। কাপুর পরিবারের বড় ছেলে শুভম কাপুরের হাত ধরেই এই পুজোর সূচনা।
আরও পড়ুনঃ ৫৬ বছরে ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর পুজো, সম্পন্ন খুঁটি পুজো
নিজে হাতে মূর্তি বানানো থেকে শুরু করে পুজোর সমস্ত দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন শুভম। প্রসঙ্গত শুভম বললেন “পাঞ্জাবি পরিবারের ছোট থেকে বড় হলেও দুর্গা প্রতিমার প্রতি আলাদা একটা অনুভূতি ছিল। মা এর স্বপ্ন দেখার পর, প্রথম থার্মোকলের দুর্গা মূর্তি বানিয়ে হাতে খড়ি করেছিলাম । এরপর পরিবারের উৎসাহে বড় করে পুজো শুরু করলাম।” এ বছরে বড় পুজোগুলির মধ্যে কাপুর বাড়ির পুজো যে আলাদাভাবে দর্শনার্থীদের মন জয় করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584