বিদ্যালয়ে ব্যবহৃত ন্যাপকিন ধ্বংসের মেশিনের উদ্বোধন

0
76

নিজস্ব সংবাদদাতা,কোচবিহারঃ

Inauguration of destroy machine
নিজস্ব চিত্র

ঋতুকালীন সময়ে ছাত্রীদের ব্যবহৃত ন্যাপকিন ধ্বংসের মেশিন বসানো হলো কোচবিহার উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ে।বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের হলঘরে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ইন্সেনারেটর মেশিনের উদ্বোধন করেন কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা।

Inauguration of destroy machine
নবনীতা শিকদার,প্রধান শিক্ষিকা।নিজস্ব চিত্র

অন্যদের মধ্যে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট তমোজিৎ চক্রবর্তী, কোচবিহার সদর মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল, কোচবিহার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দার প্রমুখ। পৌরোহিত্য করেন বিধ্যালয়ের সভাপতি বরুন দত্ত। আধুনিক সভ্যতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে স্কুল ছাত্রিদের।

Inauguration of destroy machine
কৌশিক সাহা,জেলাশাসক।নিজস্ব চিত্র

স্বচ্ছ ভারত ও নির্মল বাংলার এই সময় পরিচ্ছন্নতাও শিক্ষার একটি বড় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বালিকা বিদ্যালয় গুলিতে বয়ঃসন্ধি ঋতুকালীন সময়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ছাত্রীদের।

গ্রামীণ ছাত্রীদের অবিভাবকদের অসচেতনতার জন্য নোংরা, অপরিষ্কার কাপড় ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে স্কুল পড়ুয়ারা। এরফলে তৈরি হয় নানাবিধ সমস্যা।হঠাৎ করে ঋতুস্রাবের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে মহাসমস্যার মধ্যে পড়ে পড়ুয়ারা।অনভিজ্ঞ ছাত্রীরা আড়ষ্টতা না কাটাতে পারায় তৈরি হয় সমস্যা।

আরও পড়ুনঃ হলদিয়ায় অত্যাধুনিক ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পরিবহন মন্ত্রী

এর থেকে মুক্তি পেতে কয়েকমাস আগে কোচবিহার উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ে বসান হয় ভেনডিইং মেশিন,যাতে পাঁচ টাকার কয়েন ফেললেই বেড়িয়ে আসবে স্যানিটারি ন্যাপকিন। এরফলে ব্যবহৃত ন্যপকিন নিয়ে দেখা দিল নতুন সমস্যা। স্কুলের সৌচালয়ে জমতে থাকল আবর্জনার স্তুপ।স্কুল চত্তরের যেখানে সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছিল ব্যবহৃত ন্যপকিন গুলো।তাই এবারে বর্জ্য ধ্বংসের নতুন মেশিন বসান হল বিদ্যালয় চত্বরে।

এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নবনিতা শিকদার বলেন, “নির্মল কোচবিহার গড়ার লক্ষে যে কর্মসূচী গ্রহন কড়া হয়েছে তাতে স্বাস্থ্যবিধিও অন্যতম। ঋতুস্রাবের সময়কালে ন্যাপকিন ব্যাবহারের পাশাপাশি ব্যবহৃত বর্জ্য সঠিকভাবে ধ্বংসের জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।” কোন বালিকা বিদ্যালয়ে এই ধরণের প্রচেষ্টা এই প্রথম বলে দাবি করেন তিনি।নবনিতা দেবী বলেন,এর ফলে দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাবার পাশাপাশি আধুনিক চিন্তারও শরিক হবে ছাত্রীরা।

জেলা শাসক কৌশিক সাহা বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।এতে পরিবেশ বান্ধবের কাজ যেমন হবে তেমনি ছাত্রীরাও সংস্কার মুক্ত হবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here