সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে সমস্ত হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে যেসব রোগের চিকিৎসা করাতে আসছেন তাঁদের মধ্যে অন্তত পঞ্চান্ন শতাংশ রোগী কোন না কোন শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পড়েছে আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল।
একদিকে ক্রমশই বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা অন্যদিকে বৃক্ষরোপণ বা বিশ্ব পরিবেশ দিবস নিয়ে আলোচনা হলেও গাছ কাটার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তার প্রভাব মানুষের শরীরে পড়ছে। ইনডোর পলিউশন বা ঘরের ভিতরের দূষণ যেরকম শরীরে প্রভাব ফেলছে তেমনি প্রভাব ফেলছে বাইরের দূষণ।
আরও পড়ুনঃ বহরমপুরে বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর
কিন্তু শিল্পাঞ্চলে এত দূষণ কিভাবে হচ্ছে?এক্ষেত্রে বলা যায়, শিল্প দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন নিয়ম কানুন সরকার এনেছে কিন্তু তার বেশিরভাগই মানা হচ্ছে না। ফলে বাতাসে ‘রেসপিরেটরি ডাস্ট’ এর পরিমাণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ব্যাপক দূষণের ফলে শ্বাসকষ্টজনিত যে সমস্যা তাতে যে কোন বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।এর থেকে বাঁচার উপায় কি?
বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে, যেমন
প্রথমতঃ গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে নতুন গাছ লাগাতে হবে
দ্বিতীয়তঃ ঘরের দরজা জানলা দীর্ঘক্ষন যাতে বন্ধ না থাকে সে বিষয়টি দেখতে হবে। বদ্ধ ঘরে ধূমপান কোনভাবেই করা যাবে না।
তার কারণ সেই ধূমপানের প্রভাব চব্বিশ ঘণ্টারও বেশি সময় থেকে যায়। কাঠের বা কয়লার উনুন জ্বালানো, সিগারেট খাওয়া বা ধূপের ধোঁয়া এই দূষণের অন্যতম কারণ। সেগুলি যতটা সম্ভব পরিহার করতে হবে।
তৃতীয়তঃ একই সাথে নিয়মিত শরীরচর্চা দরকার যাতে ফুসফুস এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ভালো থাকে
চতুর্থতঃ শিল্পাঞ্চলে যেসব কারখানা রয়েছে সেই কারখানার নির্গত ধোঁয়া আটকানো ব্যবস্থা করা দরকার। বিদেশে এইগুলি থেকে নিয়ম মত পরিকল্পনা এবং তা রূপায়ণ করা হয়েছে।
দুর্গাপুরের বাসিন্দা সুদর্শন রায় চৌধুরী বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে নাগরিকদের খুব দ্রুত সচেতন হওয়া উচিত এবং এ বিষয়ে প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ জরুরি। এই উদাসীনতা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের যাতে বিপদ ডেকে আনতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে এগিয়ে আসা দরকার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584