তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ
অবশেষে শনিবার কালীঘাটের তৃণমূলের দলীয় পর্যালোচনা বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাখঢাক না রেখেই স্বীকার করে বললেন আমি ৩০ তারিখের ইফতার পার্টিতে অবশ্যই যাবো।যে গরু দুধ দেয় তার লাথি খাওয়া ভালো।এতে আমাকে যে যাই বলুক আমি আমার নীতিতে অবিচল থাকবো।
প্রকাশ্যে এই কথা বলায় তিনি নিজেই পরিষ্কার করে দিলেন এতদিন ধরে তার বিরুদ্ধে বিরোধী দল যে অভিযোগ আনত তা শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে গেল।তিনি মেরুকরণের রাজনীতিতে বিশ্বাসী।অন্য দিকে নির্বাচনে তৃণমূলের বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ পরিকল্পনা কার্যত ভেস্তে যাওয়ায় দলনেত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে দুই দিনাজপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ও সরকারি সংস্থার দায়িত্বের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন।
যেমন উত্তর দিনাজপুর জেলার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অমল আচার্যকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে সাম্প্রতিক কালে কংগ্রেস থেকে আসা তথা এবারের রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের পরাজিত প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতির পদে বসিয়েছেন।অন্যদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যিনি তৃণমূল দলকে আগলে রেখেছিলেন সেই দাপুটে নেতা তথা জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে এবারের বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের পরাজিত প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের সভাপতি পদে বসিয়েছেন বলে জানা যায়।
আরও পড়ুনঃ দুই দিনাজপুরের তৃণমূলের সভাপতি বদল
যদিও তৃণমূল নেত্রীর চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ইতিমধ্যেই জেলাব্যাপী দেখা দিয়েছে।তৃণমূল সুপ্রিমোর এই পরিকল্পনাবিহীন পরিবর্তনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সর্বত্র অসন্তোষ যেমন দেখা দিয়েছে।
ঠিক একইরকমভাবে উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584