দক্ষিণ এশিয়ায় ইন্টারনেট বন্ধে শীর্ষে ভারত

0
62

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিলে তা মানবাধিকার লঙ্ঘন করাই হয়, ২০১৬ সালে জানিয়েছিল জাতিসংঘ। তা সত্বেও, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের সরকার এই কাজটিই করে চলে, জনমত রুদ্ধ করার প্রথম পন্থা হিসেবে তারা বেছে নেয় সাধারণ মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকার কেড়ে নেওয়া।

internet | newsfront.co

যার ফল দাঁড়ায় বিশাল আর্থিক ক্ষতি। একথা জানিয়েছে টপ ১০ভিপিএন নামে, ইউকের একটি সংস্থা। সংস্থাটি মূলত ডিজিটাল সুরক্ষা ও প্রাইভেসি সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণামূলক কাজকর্ম করে থাকে। ‘গ্লোবাল কস্ট অফ ইন্টারনেট শাট ডাউন্স দ্যাট ইন ২০২০’- শীর্ষক ওই সংস্থার রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ইন্টারনেট শাটডাউনের ফলে ভারতের ২০২০ সালে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

আরও পড়ুনঃ ‘সুন্দর এবং দেখার মতো এক দৃশ্য’- উনিশের মার্কিন কটাক্ষ একুশে ফিরিয়ে দিল চিন

একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার ২১টি দেশের মধ্যে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার বিষয়ে ভারত এখন শীর্ষে। ৮৯২৭ ঘন্টা ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট চলেছে দেশে, শুধু এক বছরে, জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।আমেরিকার একটি গবেষণা সংস্থা ‘ফ্রিডম হাউস’ জানিয়েছে যে ভারতে ২০২০ সালে, সাত লক্ষেরও বেশি মানুষ সমস্যায় পড়েছিলেন যখন কাশ্মীরে ভারত সরকার ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট করে।

আরও পড়ুনঃ ২০৬ বছর পর নিজের দেশের নাগরিকদের আক্রমণেই কলঙ্কিত হল মার্কিন গণতন্ত্র

আগস্ট ২০১৯ থেকে শুরু করে ২০২০ গোটা বছর জুড়ে চলেছে এই ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এপর্যন্ত এটিই দীর্ঘতম ইন্টারনেট শাটডাউন ছিল। সারা পৃথিবীর ইন্টারনেট শাটডাউনের ৬৭% ভারতের অবদান।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here