সমর্পিতা বন্দোপাধ্যায়, ওয়েবডেস্কঃ
ভারত ও নেপালের সীমান্ত এলাকায় ভারতের সদ্য তৈরি করা একটি পার্বত্য রাস্তাকে কেন্দ্র করে আচমকাই দু’দেশের মধ্যে সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। বিবিসি প্রকাশিত খবর সূত্রে জানা যায়, গত দুদিন আগেই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সীমান্তের লিপুলেখ এলাকায় একটি লিঙ্ক রোডের উদ্বোধন করেছিলেন, এরপর নেপাল তার প্রতিবাদ করে এবং এলাকাটি তাদের বলে দাবী করে।
তবে এর উত্তরে ভারত বলছে যে, নতুন ওই রাস্তাটি সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় ভূখন্ডের মধ্যে নির্মিত হয়েছে। কেন জানি না এমন মিথ্যা বলা হচ্ছে নেপালের তরফ থেকে। নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাঠমান্ডুতে থাকা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে এ ব্যাপারে বলেন এবং তার হাতে একটি প্রতিবাদসূচক নোটও তুলে দেন।
আরও পড়ুনঃ আফগানিস্থানে হাসপাতালে জঙ্গি হানা, নিহত ২ শিশু-সহ ১২ নারী
দুই বন্ধু দেশের মধ্যে হঠাৎ এই তীব্র কূটনৈতিক বিবাদ শুরু হল সেটাই এখন দেখার বিষয় এর পিছনে অন্য কোনো শক্তিশালী দেশ প্রভাব খাটাচ্ছে কিনা। ভারতের উত্তর দিকে রয়েছে, চীন,তিব্বত আর নেপালের সীমানা। সেখানে হিমালয়ের একটি গিরিপথের নাম লিপুলেখ। ওই গিরিপথের দক্ষিণের ভূখন্ডটি ‘কালাপানি’ নামে পরিচিত। এই জায়গাটি ভারতের সীমানাতে থাকলেও নেপালের দাবী এটি তাদের ভুখন্ড।
নেপালের পার্লামেন্টে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তাদের বলেন যে, “নেপালের এক ইঞ্চি জমিও কেউ কেড়ে নিতে পারবে না – আর ভারতের এই দাদাগিরির বিরুদ্ধে নেপালের সিংহভাগ মানুষ গর্জে উঠবে।”
তবে এই হুমকির জবাব দিয়ে ভারত জানায়, “শুধু মানচিত্রই নয়, ১৮৪০ থেকে ১৮৬০-র দশকেও আমরা ইংরেজ শিকারি, পর্যটক বা অ্যাডভেঞ্চারারদের অসংখ্য বিবরণ পাই, যেখানে তারা লিপু পেরিয়ে ওই এলাকায় যাচ্ছেন। এটাই প্রমাণ করে কালাপানি ভারতের নিয়ন্ত্রণে ছিল, কারণ নেপাল তখন বিদেশিদের ঢুকতেই দিত না।”
এছাড়াও “১৯০৬ সালে আলমোড়ার ডেপুটি কমিশনার সি এ শেরিংয়ের বইয়েও ওই এলাকাটিতে ভারতের শাসন ও নিয়ন্ত্রণের স্পষ্ট প্রমাণ আছে।” “তারপরও বলব, ভারত যখন নেপালকে কথা দিয়েছে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে, তখন বলা যায় না এটা আমাদেরই এলাকা – তোমাদের এ নিয়ে কিছু বলার হক নেই।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584