ওয়েবডেস্ক,নিউজফ্রন্ট:
ভারতবর্ষে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন মুলুকের অভিযোগ খারিজ করল কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক। সাম্প্রতিক ‘ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টার্ন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’ সংক্ষেপে ইউএসসিআইআরএফ অভিযোগ করে যে ভারতের সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বাড়ছে।
Countries of Particular Concern in #USCIRFAnnualReport2020: Burma, China, Eritrea, India, Iran, Nigeria, North Korea, Pakistan, Russia, Saudi Arabia, Syria, Tajikistan, Turkmenistan, and Vietnam
— USCIRF (@USCIRF) April 28, 2020
সেই অভিযোগ খারিজ করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন,” উনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টার্ন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম সংস্থার বার্ষিক রিপোর্টে ভারতবর্ষ সম্বন্ধে যে পর্যবেক্ষণ তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। এই সংস্থার পক্ষপাতমূলক মন্তব্য এই প্রথম নয়। কিন্তু এবারের এই সংস্থার ভুল ব্যাখ্যা অন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।”
আসলে ‘ইউএসসিআইআরএফ’ ভারত সহ মোট ১৪ টা দেশকে “Country of Particular Concern” অর্থাৎ ‘নির্দিষ্ট উদ্বেগের দেশ’ বলে আখ্যায়িত করে। সেই তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান, চিন ও উত্তর কোরিয়ার মত দেশ।
ওই সংস্থার ২০২০ সালের রিপোর্টে বলা হয় যে ২০১৯ সালে ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার বাড়ার মাধ্যমে ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশাল প্রত্যাখ্যানের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা সুযোগ নিয়ে ভারত সরকার সংখ্যালঘুদের বিশেষ করে মুসলিমদের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে। সেই সঙ্গে ওই সংস্থা নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়েও একহাত নিয়েছে। শুধু তাই নয় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ‘হেট স্পিচ’অর্থাৎ ঘৃণা বক্তব্য ও উস্কানি মূলক বক্তব্য তাদের বিরুদ্ধে হিংস্রতা বাড়াতে সহায়তা করেছে করেছে বলেও দাবি তাদের।
আরও পড়ুন:ব্রেকিং নিউজ: প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খান
এছাড়াও এই কমিশন তার রিপোর্টে ফেব্রুয়ারি মাসের দিল্লি দাঙ্গার কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে তারা দাঙ্গা রুখতে ব্যর্থ হয়েছে, এমনকি পুলিশ দাঙ্গায় অংশগ্রহণও করেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584