শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
ম্যাচটা আদতে দুই ইনিংসের প্রথম ভাগেই হেরে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে গিয়েছিল লঙ্কানদের, রোহিত শর্মা ও ঈশান কিষানের উদ্বোধনী জুটিতে ১১১ রান ওঠার পর। রানতাড়ায় এরপর তারা প্রথম বলেই হারিয়েছে উইকেট। সেই যে পথ হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা, ফিরে পায়নি আর। লক্ষ্ণৌতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শেষ পর্যন্ত ৬২ রানের বড় জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেছে রোহিত শর্মার দল। এ নিয়ে টানা ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতল ভারত। টানা জয়ের রেকর্ড আফগানিস্তান ও রোমানিয়ার (১২)।
কিষানের ৫৬ বলে ৮৯, শ্রেয়াস আইয়ারের ২৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৯৯ রান তোলে ভারত। জবাবে প্রথম বলেই পাতুম নিসাঙ্কা বোল্ড হন ভুবনেশ্বর কুমারের বলে। টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয় কোনো বোলারের প্রথম বলেই উইকেট পাওয়ার ঘটনা এটি। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা যে ৬ উইকেটে ১৩৭ রান তুলতে পেরেছে, সেটিও চারে নামা চারিত আসালাঙ্কার ৪৭ বলে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে। ৬২ রানের ব্যবধান, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রানের হিসাবে বৃহত্তম জয়ের তালিকায় এটি ভারতের চতুর্থ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ যেখান থেকে শেষ করেছিল ভারত, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরু করেছিল সেখান থেকেই। ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতকে শক্ত ভিত এনে দেন অধিনায়ক রোহিত ও কিষান। এই ম্যাচে নামার আগে রোহিতের সামনে নানা রেকর্ড হাতছানি দিচ্ছিল। পাওয়ারপ্লে-তে দুজন মিলে যোগ করেন ৫৮ রান। ১২তম ওভারে গিয়ে ৩২ বলে ৪৪ রান করে লাহিরু কুমারার বলে রোহিত বোল্ড হলে ভাঙে সে জুটি।
রোহিতের এই ইনিংসের দৌলতে তিনি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় উঠে আসেন। তিনি মার্টিন গাপটিলকে পিছনে ফেলে এই রেকর্ড নিজের করে নেন। কিষান অবশ্য থামেননি। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শানাকার বলে ক্যাচ দিলে শতক থেকে ১১ রান দূরেই থামতে হয় এই বাঁহাতিকে, তবে সর্বোচ্চ স্কোর পান ঠিকই। ইনিংসে ১০টি চারের সঙ্গে মারেন ৩টি ছয়। ১৭তম ওভারে কিষান ফিরলেও দলের রানের গতি কমেনি। এই দূর্দান্ত ইনিংসের সুবাদে তিনি ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। প্রথম ১২ বলে ১২ রান করা শ্রেয়াস ঝড় তোলেন এরপর, মাত্র ২৫ বলেই পান অর্ধশতক। শেষ পর্যন্ত ৫৭ রানের ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে মারেন ২টি ছয়। শেষ ২ ওভারে ভারতীয় দল তোলেন ৩৪ রান।
আরও পড়ুনঃ ওল্ড ট্রাফোর্ডের জন্য রোমাঞ্চ জাগিয়ে রেখে ১-১ গোলে শেষ ম্যানইড ও এটিএম -এর প্রথম লেগের ম্যাচ
রানতাড়ায় প্রথম বলেই উইকেট হারিয়ে শুরুটা বিভীষিকাময় হয় শ্রীলঙ্কার। নিসাঙ্কার পর বেশিক্ষণ টেকেননি আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কামিল মিশারাও। ভুবনেশ্বরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। অথচ ১ বল আগেই ভেঙ্কটেশ আইয়ার ফেলেছিলেন মিশারার সহজ ক্যাচ। পাওয়ারপ্লেতে শ্রীলঙ্কা আর উইকেট হারায়নি, তবে ২৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি। জানিত লিয়ানাগেকে ফিরিয়ে ভারতকে ব্রেকথ্রু দেন ভেঙ্কটেশই, সপ্তম ওভারে। দীনেশ চান্ডিমাল ও অধিনায়ক শানাকাকেও এরপর দ্রুত হারায় শ্রীলঙ্কা-চান্ডিমালকে ফেরান জাদেজা, শানাকাকে যুজবেন্দ্র চাহাল। ষষ্ঠ উইকেটে চামিকা করুনারত্নের সঙ্গে ২৯ বলে ৩৭ ও সপ্তম উইকেটে দুষ্মন্ত চামিরার সঙ্গে ২৬ বলে ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ব্যবধানটাই শুধু কমাতে পেরেছেন আসালাঙ্কা। ১৯তম ওভারে অর্ধশতক পান আসালাঙ্কা, আর চামিরা অপরাজিত ছিলেন ১৪ বলে ২৪ রান করে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584