নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
বাহরিনে হিজাব পরিহিত মহিলাকে রেস্তোরাঁয় ঢুকতে দেননি রেস্তোরাঁর ভারতীয় ম্যানেজার। দেশের আইন ভাঙ্গায় রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিল সরকার। এরপর রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ জন সমক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বাধ্য হয় এবং অতি উৎসাহী এই ভারতীয় ম্যানেজারকে বরখাস্ত করা হয় কাজ থেকে। সরকারি তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা সরকারের নীতি নয়, তা কোনভাবে ভাঙ্গা হলে শাস্তি পেতে হবে।
রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সামনে আসতেই তড়িঘড়ি তদন্তে নামে বাহরিন পর্যটন কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, বাহরিনের সমস্ত হোটেল রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয় সে দেশের আইন কোনভাবে ভাঙ্গলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে সরকার। সরকারি তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে এমন কোন কাজ কোন ভাবেই মানা হবে না, বিশেষ করে দেশের মানুষের জাতীয় পরিচয়ের ওপর কোন রকম আঘাত তারা সহ্য করবে না।
ঘটনার সূত্রপাত কর্ণাটকের হিজাব মামলার রায় বেরনোর পর যখন ভারতের শীর্ষ আদালত হিজাব সংক্রান্ত মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দেয়। হিজাব পরে কর্ণাটকের কলেজে ক্লাস করতে পারবেন না এই সিদ্ধান্ত বহাল রাখার হাইকোর্টের রায় কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মামলাকারীরা। আর এতেই অতি উৎসাহী হয়ে বাহরিনের রেস্তোরাঁয় হিজাব পরিহিত মহিলাকে ঢুকতে দিলেন না ‘ল্যান্টার্ন্স বাহরিন’ রেস্তোরাঁর ঐ ভারতীয় ম্যানেজার।
And this Hindu Indian is from Karnataka, not surprised!!. What a downfall of this Silicon Valley!!
— Harmeet Kaur (@iamharmeetK) March 27, 2022
অবশেষে অভিযুক্ত রেস্তোরাঁ ‘ল্যান্টারন্স বাহরিন’ তাদের ইন্সটাগ্রাম পেজে গোটা ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে। ক্ষমা প্রার্থনা করে আরবি ও ইংরাজি ভাষায় পোস্ট করে। এবং জানায় ঐ ম্যানেজারকে বরখাস্ত করেছে তারা। এরপরে রেস্তোরাঁ পুনরায় চালু করার অনুমতি দিয়েছে বাহরিন সরকার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584