নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল মুসলিম লিগ(আইএনএমএল) সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদনপত্র পেশ করেছে এনআরসি এবং এনপিআর পরস্পর সম্পর্কযুক্ত কিনা সেই বিষয় জানতে চেয়ে। ১০ জানুয়ারি সিএএ-র বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আরেকটি আবেদনপত্রও পেশ করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় স্বীকার করেছিলেন যে এনআরসি এবং এনপিআর পারস্পরিকভাবে সম্পর্কযুক্ত। পাশাপাশি রাজ্যমন্ত্রী কিরেন রিজিজু রাজ্যসভায় জানিয়েছিলেন এনপিআর, এনআরসি-র প্রথম পদক্ষেপ।
কিন্তু পরবর্তীকালে সিএএ নিয়ে দেশ জুড়ে উত্তাল বিক্ষোভকালীন পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী থেকে বিজেপির অন্যান্য কর্মকর্তারা বলতে থাকেন এনপিআর এর সাথে এনআরসি-র কোনও সম্পর্ক নেই। স্বভাবতই তাদের এই মন্তব্য সাধারণ জনগণের মধ্যে এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন ও ধোঁয়াশার সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুনঃ প্রকাশ্য মঞ্চে সরকারি আধিকারিকের ‘চাকরি নিয়ে টানাটানির’ হূঁশিয়ারি ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রীর
এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখে ওই আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আইন বিচারালয় এনআরসি এবং এনপিআর সংক্রান্ত যাবতীয় দ্বন্দ্ব ও ধোঁয়াশা দূর করে আদালতে একটি রিট পিটিশন পেশ করুক, কারণ মন্ত্রীদের দুমুখো মন্তব্য জনগণের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও ভীতির উদ্রেক করছে।
জানুয়ারি ১০ এ করা ওই আবেদনপত্রেই প্রথম সিএএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রশ্ন তোলা হয়। এরপরে সিএএ সংক্রান্ত মোট ৬০ খানা পিটিশন জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে, যার শুনানির তারিখ ২২ জানুয়ারি।
আরও পড়ুনঃ গভীর রাতে বিশ্বভারতীতে হানা, আক্রান্ত পড়ুয়ারা, অভিযোগ এবিভিপি’র বিরুদ্ধে
নয়া নাগরিকত্ব আইন সংবিধানের ১৪ নং ধারাকে লঙ্ঘন করে। পাশাপাশি ধর্মের সাথে নীতির সংযুক্তিকরণ নিয়েও প্রশ্ন তোলে। সিএএ আইন হওয়ার আগে যখন বিল ছিল, সেই বিলে উল্লেখ করা হয়েছিল ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ এর আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রীস্টান, পার্সি এই ছয়টি ধর্মাবলম্বী শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
বিলে কোথাও মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষদের কথা উল্লেখ ছিল না। স্বাভাবিকভাবে নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এই ধর্মের মানুষদের যে আলাদা ভাবে দেখা হচ্ছে সেই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর এই ইস্যুটিই গোটা দেশে আশঙ্কা, দাঙ্গা ও সন্ত্রাসের সৃষ্টি করে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584