শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
মাত্রাতিরিক্ত রোগীর চাপে বারবার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমন্বয়ের অভাব প্রকট হয়ে উঠছে। আগেও বেশ কয়েক বার এই ঘটনা ঘটার পর ফের তার পুনরাবৃত্তি হল ১১৯ নম্বর ওয়ার্ড বেহালার সাহাপুরে। রবিবার রাত ১২ টা থেকে ৬২ বছর বয়সী করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ ১৫ ঘণ্টা বাড়িতে পড়ে থাকার পর শববাহী গাড়ি এসে সরিয়ে নিয়ে গেল দেহ।
অথচ তার আগে চেষ্টার ক্রটি রাখেনি পরিবার। স্থানীয় থানা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য দফতর, এমনকি প্রাক্তন কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তারা সাহায্যের আবেদন করেন। কিন্তু কোনও তরফেই কোনও সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের।
পরিবার সূত্রে খবর, এর আগে ওই বৃদ্ধের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এলে প্রথমে স্বাস্থ্য দফতরে যোগাযোগ করেন। কিন্তু সেই সময়ে তাকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। রবিবার রাতে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার পর হাসপাতাল বা অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করার আগেই তিনি মারা যান। তারপর থেকেই ভোগান্তি শুরু হয় পরিবারের। প্রাক্তন কাউন্সিলরও বিন্দুমাত্র সাহায্য করেননি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ আমেরিকায় ছেলে, টালিগঞ্জে ফাঁকা বাড়িতে মৃত মায়ের শরীরে পচন
মৃতদেহ দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে পড়ে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পুলিশ এবং পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত দেহ সরানোর বিষয়ে নির্দেশ দেন। উদ্যোগী হন পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়ও। তারপর দুপুর ১ টা নাগাদ বেহালা থানার পুলিশ এবং দুপুর তিনটে নাগাদ পুরসভার গাড়ি ওই ব্যক্তির মৃতদেহ নিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারপর তার দেহ নিয়ে যাওয়া হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584