শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা শুরু করেছিল তৃণমূল। আর এই দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে উল্টোডাঙ্গায় দেখা গেল প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে সরকারি নথি।
কলকাতা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে শুক্রবার সকাল থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি পালন হচ্ছিল। সেই সময় প্রকাশ্যে আসে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।অভিযোগ, বাইরে ভিড় থাকলেও ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরের পরিচিতরাই প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছিলেন। পরে মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে সেখানে পৌঁছলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
যদিও ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর জানিয়েছেন সকাল থেকে মসৃণভাবে কাজ চললেও দুপুর দেড়টা নাগাদ সাধন পাণ্ডে সেখানে পৌঁছে গণ্ডগোল শুরু করেন। ফোনে মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে জানিয়েছেন, “সরকারের কাজে কোন রাজনৈতিক নেতা থাকতে পারবেন না, টেবিল বসালে ভেঙে দেব।”
আরও পড়ুনঃ দুয়ারে সরকার কাজে বাধার অভিযোগ বাম কো-অর্ডিনেটরের
এদিকে এবার পরেশ পালকে আইনি নোটিস পাঠালেন সাধন পাণ্ডের মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে।
উত্তর কলকাতার রাজনীতিতে ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে এবং বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পালের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। দল বারবার তাদের মিলেমিশে কাজ করা কথা বললেও দুজনেই একে অপরকে আক্রমণের কোন সুযোগ ছাড়েন না। পরেশ পাল আচমকাই দু’জন রাজনীতিকের মধ্যে টেনে আনেন সাধন পাণ্ডের অভিনেত্রী মেয়ে শ্রেয়ার কথা।
আরও পড়ুনঃ হুমগড়ে বিজেপির যুব মোর্চার সমাবেশে তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শঙ্কুদেব পণ্ডার
আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধন পাণ্ডের মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে। তিনি বলেন, “আমার চরিত্রহনন করা হয়েছে। দু’জন রাজনীতিক বাকযুদ্ধে জড়াতেই পারেন। তবে দু’জনের ঝামেলার মধ্যে আমাকে টেনে আনা কখনই উচিত নয়।”
আর এই ঘটনার জেরেই পরেশ পালের তিনটি ঠিকানাতেই এই নোটিশ পৌঁছে গিয়েছে৷ নোটিশ পাওয়ার পর সাতদিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। তবে তারপরেও ক্ষমা চাননি বেলেঘাটার বিধায়ক। তাই পরেশ পালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন শ্রেয়া পাণ্ডের আইনজীবী৷ যদিও এ বিষয়ে এখনও পরেশ পালের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584