মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
নাম না করে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে শনি ঘোষ বলে কটাক্ষ করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেত্রী রূপা গাঙ্গুলি।এদিন তিনি কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে রাসমেলা ময়দানে সভায় বক্তব্য রাখেন।
সেখানে তিনি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেন,“এখানে একজন রয়েছে তিনি হলেন শনি ঘোষ। কারন আমি ওনার নামটি নিতে চাই না। কারন ওই নামের সাথে জড়িয়ে আছে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম।তাই তাঁর নাম নিয়ে প্রিয় কবিকে অসম্মান করতে চাইনা।”
এদিন ভারতীয় জনতা পার্টির নেত্রী রূপা গাঙ্গলির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, তিনি তো নিজেই একটা কাল নাগিনী।শনি, মাশান তো ওদের দলেই আছে।এটা দেশের মানুষ জানে।কোচবিহারের এসে ভুলভাল কথা বলে লাভ হবে না।২৩ মে কোচবিহারের মানুষ বিজেপিকে বুঝিয়ে দেবে কারা শনি আর মাশান।
এদিন ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী,বিজেপি সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয় বর্গী, রাজ্য বিজেপি নেতা মুকুল রায়, কোচবিহার জেলা বিজেপি সভানেত্রী মালতি রাভা,আলিপুরদুয়ার বিজেপি প্রার্থী জন বার্লা সহ দুই জেলার নেতা নেতৃত্বরা।
প্রসঙ্গত,দুদিন ধরে টানাপড়েন চলার পর শেষ পর্যন্ত রাসমেলার মাঠে মোদী-মমতার সভা নিয়ে জটিলতা কাটল।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চ ও ‘ডি জোন’ সুরক্ষিত রেখে পাশেই গড়ে তলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা মঞ্চ।১১ এপ্রিল প্রথম দফাতেই কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে নির্বাচন। রাজ্যের এই দুই কেন্দ্রের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোর কদমে প্রচার শুরু হয়েছে। শেষ দিকে প্রচারকে তুঙ্গে নিয়ে যেতে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি হাইপ্রোফাইল সভা করার উদ্যোগ নিয়েছে। ৭ এপ্রিল কোচবিহারে সভা করতে আসেছেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর তার পরের দিন অর্থাৎ ৮ এপ্রিল সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কিন্তু দুই হাই প্রোফাইলের সভা জন্য তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষই কোচবিহার রাসমেলা মাঠকে বেছে নেওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়।তৃণমূল কংগ্রেস ওই সভার অনুমতি পেয়েই রাসমেলার মাঠে মঞ্চ গড়ার কাজ শুরু করে।মঞ্চ, ‘ডি জোন’ ছাড়াও মেলার মাঠে গড়ে তোলে দর্শকাসনের জন্য ছাউনি দেওয়ায় সমস্যা আরও বেড়ে যায়।গতকাল মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয় বর্গী কোচবিহারে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের ওই মঞ্চ খুলে দিয়ে মোদীর সভার জন্য মঞ্চ তৈরি করার জন্য প্রশাসনের উপড়ে চাপ সৃষ্টি করে।না হলে বিজেপিটা খুলে দেওয়ার হুমকিও দেয়।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী সভা মঞ্চকে পরাজয় বিনাশের স্মারক বলে উল্লেখ মোদীর
এতে উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা করে মাঠের মধ্যে পুলিশ নামানো হয়।শেষ পর্যন্ত শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসন দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের সুত্র বের করে। তাঁর পরের আজ সেই মাঠে নরেন্দ্র মোদী সভা করলেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584