নিজস্ব প্রতিবেদক, কোলকাতা:
মাদ্রসা শিক্ষার স্বার্থে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের প্রয়োজনীয়তা ও দীর্ঘদিন মাদ্রাসা নিয়োগ না হওয়ায় মাদ্রাসা গুলিতে শিক্ষার যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তার থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে আগামি ০৯/০৯/২০১৭ তারিখে কলকাতার এ্যকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে বাংলার সকল স্তরের বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে এক বুদ্ধিজীবী সভার আহবান করেছে বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরাম।
এই অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠনটি মাদ্রাসায় স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধারভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন বাঁচানোর লক্ষ্যে সুপ্রিমকোর্টে প্রায় দু বছর ধরে আইনি লড়াই লড়ছে। পাশাপাশি জনসচেতনতা ও সরকারে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য জেলায় জেলায় জেলাশাসকদের ও রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতিটি দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। তাদের দাবি গত ২৪/০৪/২০১৭ তারিখে সুপ্রিমকোর্টৈর লিভগ্রান্ডের ফলে মাদ্রাসায় কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগের কোন বাধা না থাকা সত্বেও মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন শিক্ষক নিয়োগ করছেনা- ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে আছে।
এমতাবস্থায় রাজ্যের ৬১৪ টি মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। আর এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে মাদ্রাসায় পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের উপর। এর ফলে রাজ্যের একটা বৃহৎ অংশ আধুনিক শিক্ষার সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । অপর দিকে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন দীর্ঘ দু বছর পর, গত বছর ০৫/০৯/২০১৬ তারিখে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে। কিন্তু যদি আইনি কোন বাঁধা না থাকে তাহলে কেন কমিশন এক বছর অতিক্রান্ত হবার পরও সফল প্রার্থীদের ইন্টার্ভিউ নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করছেনা?- উঠছে প্রশ্ন ।
এই অবস্থায় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের 6SLST উত্তীর্ণ হবু শিক্ষকরা হতাশায় দিন গুনছেন।তাদের একটা বৃহৎ অংশ ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন। তাদের মতে- যে মাদ্রাসার কেসের কারণে মাদ্রাসায় নিয়োগ বন্ধ তাদের দুর্নীতির ভুরি ভুরি খবর ইতিমধ্যে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়া সত্বেও তাদের বিরুদ্ধেও সরকার কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা কেন?
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584