মুনিরুল তারেক, বাংলাদেশঃ
বাংলাদেশে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে এই পরিকল্পনা। বাংলাদেশ পুলিশ গোয়েন্দা সূত্রে এই তথ্য জানতে পেরে দেশের সকল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কড়া সতর্ক বার্তা দিয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (অপারেশনস-১) সাইদ তারিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই চিঠি ইস্যু করা হয়েছে দুই দিন আগে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যে পুলিশ জানতে পেরেছে- তথাকথিত আইএস আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কথিত “বেঙ্গল উলায়াত” ঘোষণার উদ্যোগ নিয়েছে। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সাধারণত বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমেই “বেঙ্গল উলায়াত” ঘোষণা করা হয়।
এই অবস্থায় আইএস’র দেশীয় অনুসারী নব্য জেএমবির সদস্যরা হামলা পরিচালনাসহ যে কোনো জঙ্গি হামলা বা বোমা হামলার মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড সংঘটনসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে পারে। তাই, পুলিশের সকল ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে করে যথাযথ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। ওই চিঠিতে এটাও উল্লেখ রয়েছে, হামলায় কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে দুর্বৃত্তরা। এসব তথ্যের নিরিখে, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটসহ জঙ্গি দমনে কাজ করা ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে নকল মাস্ক সরবরাহকারী নেত্রীকে গ্রেফতার
এছাড়া উগ্রপন্থী বা তাদের সংগঠনের উপর নজরদারি বৃদ্ধি, পুলিশের সবাইকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বজায় রাখা, পুলিশের গাড়ি-স্থাপনা খালি বা পরিত্যক্তভাবে ফেলে না রাখা, পুলিশের ভবনগুলোতে প্রবেশের সময় নিরাপত্তা ও পরিচয় নিশ্চিত করা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর নজরদারি বৃদ্ধি করা, চেকপোস্টে তল্লাশি বাড়ানো, সন্দেহ হলে ব্যাগ-দেহ তল্লাশি করা, সন্দেহজনক এলাকায় ব্লক রেইড করতে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত মাল্টিমোডাল কন্টেইনার রেল
পুলিশের গোয়েন্দা তথ্যে বলা হয়েছে, হামলার সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হতে পারে পুলিশের কোনো বিশেষ টিম, স্থাপনা বা যানবাহন। এছাড়া, বিমানবন্দর, দূতাবাস বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, মিয়ানমারের দূতাবাস ভবন বা বিশেষ ব্যক্তি অথবা শিয়া-আহমদিয়া উপাসনালয়, মাজার কেন্দ্রিক মসজিদ, চার্চ, প্যাগোডা, মন্দির টার্গেট করা হতে পারে। হামলার দিন-তারিখ না উল্লেখ থাকলেও চিঠিতে সময়কাল ধরা হয়েছে, সকাল ৬-৭টা অথবা সন্ধ্যা ৭-১০টা। হামলাকারীর বয়স ১৫-৩০ বছরের মধ্যে হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
চিঠি শেষে সকল ইউনিট প্রধানকে সকল নির্দেশনা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। এদিকে, উগ্রপন্থীদের কার্যক্রম নিয়ে গতকাল ২৬ জুলাই বিকেলে নিজ কার্যালয়ে এক সভা ডাকেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম। সেখানে তিনি, সকল কর্মকর্তাদের এসব বিষয়ে নির্দেশনা দেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584