নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ
দক্ষিণ কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় মৃত্যু হয় মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানার অন্তর্গত বাহালনগর গ্রামের পাঁচ শ্রমিকের। একই ঘটনায় আহত হয় জহিরুদ্দিন সেখ।
ঘটনার খবর সাগরদিঘি থানার বাহালনগর গ্রামে আসতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। মঙ্গলবার রাত্রি থেকে অপেক্ষায় মৃতদের পরিবার-পরিজনেরা।
আজ ভোর পাঁচটা নাগাদ কফিন বন্দি হয়ে পাঁচটি নিথর দেহ পৌঁছাতেই পরিজনদের বুক ফাটা কান্নার আওয়াজে ভারী হয়ে ওঠে আকাশ বাতাস। জেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত হন মুরসালিম শেখ (৩৬), রফিক শেখ (৫১), নইমুদ্দিন শেখ, কামিরুদ্দিন শেখ (৩৪) ও রফিকুল শেখ (২২)। জঙ্গিদের হাতে গুরুতর জখম জহিরুদ্দিন। কাশ্মীরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন জহিরুদ্দিন।
স্ত্রী পারমিতা খাতুন, জানান ২৮ দিন আগে শ্রমিকের কাজের উদ্দেশ্যে জম্মু কাশ্মীরে গিয়েছিলেন সকলে। দু’মাস হল বিয়ে হয়েছে। অন্যেরা প্রতি বছর গেলেও তার স্বামী এই প্রথমবার গেলেন। গতকাল সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ স্বামীর সাথে শেষ কথা হয় পারমিতার।
তারপর গতকাল বিকেল নাগাদ বহুল প্রচলিত একটি বাংলা দৈনিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়- অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে জহিরুদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পাঁচলক্ষ ক্ষতিপূরণের সাথে চাকরির দাবি কাশ্মীরে নিহত পরিবারের প্রতিবেশীদের
নিউজফ্রন্টের পক্ষ থেকে জহিরুদ্দিনের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় যে, তাদের কাছে এরকম কোনও খবর নেই।
আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করি কাশ্মীরের হাসপাতালে, যেখানে জহিরুদ্দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরিবার সূত্রে প্রাপ্ত ফোন নং-এ যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। পরবর্তীতে আকস্মিক ভাবে আমরা লক্ষ্য করি সেই গণমাধ্যমের ইন্টারনেট লিঙ্ক এ খবরটি উধাও।
গভীর রাতে জানা যায়, মৃত দেহগুলির পাশাপাশি এ দিন জহিরুদ্দিনকেও রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে আহত জহিরুদ্দিন এসএসকেএম হাসাপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
চারিদিকে কান্নার রোল, শোকে বিহ্বল এলাকা, উদাস চোখে সদ্য বিবাহিতা পারমিতা এখন শুধুই স্বামীর প্রতীক্ষায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584