নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
আকাশ আটের পর্দায় আসছে নতুন ধারাবাহিক ‘জয় মা সন্তোষী’। পুরাণ ঘাটলে জানা যায়, মর্তনারীদের দুঃখ-কষ্ট-লাঞ্ছনা- এবং অবমাননা দেখে তাদের সন্তোষবিধানের মানসে সিদ্ধিদাতা গণেশের অশ্রুজলে সৃষ্টি হয় দেবী সন্তোষীর। কিন্তু বিধি বাম! সন্তোষীর জন্ম নিয়ে কেউ সন্তুষ্ট নয়। দেবলোকের এই নতুন দেবীকে মেনে নিতে পারেন না দেবীরা।
দেবলোকে অধিকার পেতে চাইলে, দেবীদের নেত্রী মনসার ছলে কৌশলে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর সিদ্ধান্ত জানান সন্তোষীকে মর্তলোকের হাতে পূজা পেতে হবে তবেই সে দেবীত্বের মুকুট ধারণ করতে পারবে মাথাতে। কিন্তু পূজা পেতে হবে তার একার চেষ্টাতে কোনও দেবদেবীর সাহায্য সে পাবেনা।
আরও পড়ুনঃ ডায়ালিসিস সফল হলেও সৌমিত্রের ফুসফুসের সংক্রমণ চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের
নিজের প্রতিষ্ঠা পেতে শুরু হয় সন্তোষীর সংগ্রাম! দেবী মনসাকে স্বর্গাসন লাভ করতেও চাঁদ সদাগরকে মাধ্যম করতে হয়েছিল। কঠিনতম ছিল সেই পথ। মর্তলোকও সন্তোষীকে খুব সহজে মেনে নেয়নি। তাই বারবার নিজের পূজা প্রচারে ব্যর্থ হন সন্তোষী। ব্যর্থ হতে হতে একসময় তাঁর পিঠ যখন দেওয়ালে ঠেকে যায়, তখন অসহায়, অনাথ দরিদ্র সাবিত্রী তাঁর নজরে আসে। কিন্তু যার পায়ের তলায় নিজের মাটিই নেই সে কী ভাবে সন্তোষীর পূজা প্রচার করবে?…
আরও পড়ুনঃ হইচই-তে হাজির গোয়েন্দা দময়ন্তী
দ্বিধাগ্রস্থ সন্তোষীকে মনোবল জোগান তাঁর সহচরী সুবচনী। মর্তনারীদের দুঃখ কষ্ট অবমাননাকে নিজের বলে মনে করে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
শুরু হয় গণেশনন্দিনীর কঠিন সংগ্রাম। লড়াইয়ের শেষে জয়ী হয় সাবিত্রী আর সন্তোষী। নাটকীয় ঘটনার ঘাত প্রতিঘাতের শেষে সাবিত্রী অবশেষে ষোলোতম শুক্রবারে ব্রত সমাপ্ত করতে পারে। স্বর্গসভায় মহাসমারোহে দেবীত্বের শিরোপা পান দেবী সন্তোষী। মর্তে সন্তোষী মায়ের নাম মহিমা প্রচার হয়, ঘরে ঘরে পূজা প্রচার হয়।
ভক্ত ও ভগবানের এই লড়াই এবং পরিশেষে সাফল্য লাভের ঘটনা নিয়েই পৌরাণিক কাহিনি অবলম্বনে আকাশ আটের পর্দায় আসছে ‘জয় মা সন্তোষী’।
আরও পড়ুনঃ অরিন্দমের ছবিতে নাইজেল আক্কারা, ফ্লোরে যেতে প্রস্তুত ‘তীরন্দাজ শবর’
সন্তোষী মায়ের চরিত্রে শোভনা বিশ্বাস, গণেশ– জয়প্রকাশ পাল, ঋদ্ধি- গার্গী আচার্য, সিদ্ধি- আঁখি দাস, শুভ- রিতম মুখার্জি, লাভ- দীপায়ন মুখোপাধ্যায়, শিব- সৌরভ দত্ত, মহামায়া- পরমা সরকার, নারদ –অনিরুদ্ধ মুখার্জি, মনসা-সুদেষ্ণা দাস মজুমদার, শীতলা- রিয়াঙ্কা ঘোষাল, সুবচনী- ঐশ্বর্য মণ্ডল, সাবিত্রী- সুশ্রীতা ঘোষ, কমলা (সাবিত্রীর মা)- মুনমুন রায়, রামলাল- সুখদীপ সাহা, রামলালের মা- বিজলি সরকার, বণিক- রাজর্ষী মুখার্জি, অপ্সরা- পার্বণী বর্ধন, মাতব্বর- প্রদীপ মৌলিক, ছত্রধারী– অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায়, ধাইবুড়ি- অপর্ণা সরকার, সামাই ডাকাত- সুরজিৎ কুমার গুপ্ত, রামলালের বৌদিদের চরিত্রে রয়েছেন স্বাগতা সেনগুপ্ত, স্বর্ণালী গুহ, অপর্ণা চক্রবর্তী। রামলালের দাদাদের চরিত্রে শুভজিৎ বক্সী, দেবাশিস সরকার, আবীর ঘোষ। বংশী (সাবিত্রীর কাকা ১)- দেবাশিস ভট্টাচার্য, বদন (সাবিত্রীর কাকা ২)- অনুব্রত চক্রবর্তী, সাবিত্রীর কাকিমা ১- ইন্দ্রাণী মুখার্জি, সাবিত্রীর কাকিমা ২- মৌসুমী মুখার্জি।
আরও পড়ুনঃ বন্ধু হতে চায় ‘এসো বন্ধু’
কাহিনী বিন্যাস, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গীতা বিশ্বাস। শিল্প নির্দেশনা- জয় চন্দ্র চন্দ্র। রূপসজ্জায় প্রীতম কয়াল।শব্দগ্রহণ- রঞ্জন পাণ্ডে, চিত্রপরিকল্পনা ও চিত্রগ্রহণে চন্দন কুমার, আবহ ও সঙ্গীতে দেবজিৎ রায়, গীতরচনায় ক্ষৌণীশ, নেপথ্য কণ্ঠে তৃষা পাড়ুই, দেবাদৃতা চট্টোপাধ্যায়, অরিত্র দাশগুপ্ত, দিশা রায়, প্রীতম কুমার, ঋক বসু।
সম্পাদনায় লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়, আশিস চক্রবর্তী। গ্রাফিক্সে রাজন, ইন্দ্র, অঙ্কিত, অনির্বাণ। কার্যনির্বাহী প্রযোজনায় দেবারতি।
সহযোগী প্রযোজনায় রাহুল সুরানা, ঋষভ সুরানা। সহকারী প্রযোজনায় ঈশিতা সুরানা। পর্ব পরিচালনায় রানা মিত্র। পরিচালনায় সুশান্ত বসু। আগামী ২ নভেম্বর থেকে সোম-শনি, সন্ধে ৭টায় দেখুন ধারাবাহিক ‘জয় মা সন্তোষী’।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584