গোদের উপর বিষফোঁড়া নয়া স্ট্রেন! জাপানে জারি জরুরি অবস্থা

0
53

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

লক্ষণ নেই করোনার দাপট কমার, তার মধ্যেই পাওয়া গেল নতুন স্ট্রেন। এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজধানী টোকিও- সহ সংলঙ্গন বেশ কিছু অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করল জাপান। আগামি ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই জরুরি অবস্থা জারি থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

china | newsfront.co

দেশজুড়ে লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, সবকিছু বন্ধ থাকলে তার খারাপ প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে। তাই সম্পূর্ণ লকডাউনের বদলে টোকিও সহ সাইতামা, কানাগাওয়া ও ছিবা অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে জাপান সরকার। এই অঞ্চলগুলোতে ওই দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষের বসবাস। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আংশিক জরুরি অবস্থায় অর্থনীতির ক্ষতি সামলাতে ৭০ হাজার কোটির ইয়েন প্যাকেজের ঘোষণা করা হবে।

দেশকে করোনামুক্ত করতে চাইছে জাপানের ইয়োশিহিদের সুগারের সরকার। কয়েকদিন আগেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে আরও কিছুদিন বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। লড়াইটা সহজ নয়।“ তারপরই এই জরুরি অবস্থা জারি হল। গত এপ্রিলের লকডাউনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উৎপাদন ও বিক্রয় ছাড়া স্কুল, কলেজ, পানশালা সহ অন্যান্য সবকিছু বন্ধ ছিল জাপানে। এবারের নির্দেশিকায় কিছুটা ছাড় দিয়ে বলা হয়েছে যে, রেস্তোরাঁ সন্ধ্যা ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ির বাইরে বেরতো পারবেন না।

আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ এশিয়ায় ইন্টারনেট বন্ধে শীর্ষে ভারত

এর মধ্যেই অতিমারীর প্রভাব কাটিয়ে যত দ্রুত সম্ভব অলিম্পিকের প্রস্তুতি শুরু করতে চায় জাপান। জরুরি অবস্থার জারির পর এমনটাই জানিয়েছে ইয়োশিহিদো সরকার।

সরকারের এই আংশিক জরুরি অবস্থা ঘোষণার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন জাপান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান তোশিয়ো নাকাগাওয়া তিনি বলেছেন, “আংশিক জরুরি অবস্থার বদলে দেশজুড়ে সম্পূর্ণ জরুরি অবস্থা জারির প্রয়োজন ছিল।“

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার জাপানে কোভিডআক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার মানুষ। রাজধানী টোকিওতে আক্রান্তের সংখ্যা ২,৪৪৭ জন। মোট সংক্রামিতের সংখ্যা আড়াই লক্ষের বেশি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here