নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ
গরিব মানুষদের স্বনির্ভর করে তোলার জন্য আমলাশোলে ৭লক্ষ ৭৮ হাজার ১৯৩ টাকা খরচ করে ২০জন শবর সম্প্রদায়ের মানুষকে পুষ্টি বাগান করে দেওয়ার জন্য বিনপুর ২নং পঞ্চায়েত সমিতি ও বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
তাই শনিবার বিনপুর ২ নং ব্লকের আমলাশোল প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে পুষ্টি বাগানের উপভোক্তা ২০ জনের হাতে বোর্ড ও গাছের চারা তুলে দেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানী।
আমলাশোল গ্রামের প্রত্যেক পরিবারে যার উঠোনে যতখানি জায়গা রয়েছে, সেই জায়গাগুলোতে আগাছা পরিষ্কার করে, তাদের পুষ্টির জন্য বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ লাগানো হল। আজ ছিল তার শুভ সূচনা। এই গাছ গুলোর তিন বছর পর্যন্ত সরকারিভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে (যার কাজ করবে উপভোক্তারা নিজেই , সেই কাজের বেতনও দেবে সরকার ১০০দিনের কাজের মাধ্যমে।
আরও পড়ুনঃ বীরভূমে পথ চলা শুরু কোভিড ওয়ারিয়ার্স ক্লাবের
আর গাছের রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় মালপত্র তথা সার, কীটনাশক সরকার সাপ্লাই দেবে)। সঙ্গে গিয়েছিলেন ডিএইচও, যিনি উপভোক্তারা ওখানে কিভাবে গাছের পরিচর্যা করবেন, তা বিস্তারিত ট্রেনিং দেন। তিন বছর পরে ওই গাছগুলোর মালিকানা থাকবে ওই উপভোক্তাদের।
আরও পড়ুনঃ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে পরিবার পরিকল্পনার বার্তা দিয়ে প্রকাশ্যে এল ট্যাবলো
যদি কোন পরিবার এই প্রকল্পে ১০০ টি চারা গাছ লাগিয়ে নেন, তবে তারা প্রতি মাসে, তিন বছর পর্যন্ত ১০০০ টাকারও বেশি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পারিশ্রমিক পাবেন।
শর্ত একটি, গাছগুলো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তিন বছর পরে গাছের মালিকানা পেলে, ওই গাছগুলোর ফল বাড়িতে নিজেরাই খেতে পারবে আর বিক্রি করতে পারবে হাটে-বাজারে বা সরকারের কাছে। ওই ১০০ টি গাছ থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম বছর রোজগার হবে কমপক্ষে বছরে ২০০০০ টাকা করে। আর পঞ্চম বছরের পর থেকে বছরে রোজগার হবে কমপক্ষে ৩০০০০ টাকা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584