নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
হীরক রাজ্যে কেউ সুখে ছিল না, রাজা একা ছাড়া। বর্তমান ভারতবর্ষের ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ও ‘গণতন্ত্র’ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে হীরক রাজার কথাই মনে পড়ে। মাথার উপরে বসে একজন ছড়ি চালাচ্ছেন, তাঁর কথামতো ওলট-পালট হয়ে যাচ্ছে ঐক্য, সংহতি, দেশপ্রেমের সংজ্ঞা।

সম্প্রতি জেএনইউ কাণ্ডে ঘটে যাওয়া পরিকল্পিত ‘দুর্ঘটনা’র জেরে যাদের শাস্তি পাওয়ার কথা, যারা সাজা পাওয়ার যোগ্য, তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর বদলে সাজা পাচ্ছেন আক্রান্তরা।
ক্যাম্পাসে ভাঙচুরের অভিযোগে এ বার এফআইআর দায়ের হল জেএনইউ-এর বাম ছাত্র নেত্রী ঐষী ঘোষ-সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে। ক্যাম্পাসে হামলার আগের দিন সার্ভার রুমে ভাঙচুরের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ সরকারি প্যানেল থেকে পদত্যাগ অধ্যাপকের, জেএনইউতে আবার বিবেকের জয়
এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে, ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করার সময় সার্ভার রুমে ভাঙচুর করে বামপন্থী সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্ডকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩ এবং ৪ জানুয়ারি এফআইআর দায়ের হয়। সেই এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছিল নিরাপত্তারক্ষীকে হেনস্থা করেছেন ঐষী ঘোষ এবং আরও ৮ জন।
আরও পড়ুনঃ সই জালের অপরাধে আইনজীবী-মুহুরীদের সাজা ঘোষণা
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ৩ জানুয়ারি আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা সার্ভার রুম বন্ধ করে দেন। তার পরের দিন শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মী সেই সার্ভার চালু করতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। এমনকী মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
পরের দিন রবিবার এবিভিপির কিছু গুন্ডা সশস্ত্র হয়ে, পুলিশি নিরাপত্তায় ক্যাম্পাসে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। মহিলা হোস্টেলে ঢুকে মাথা ফাটিয়ে দেয় ঐষী ঘোষের। জখম করে আরও অনেক শিক্ষার্থীকে। ঘটনায় মোট ৩৪ জন আহত হন। পুলিশ এখনও পর্যন্ত সেই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584