প্রয়াত বর্ণবৈষম্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের মুখ জন লুইস

0
47

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

শুক্রবার প্রয়াত হলেন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্য জন লুইস। গত ডিসেম্বরেই লুইস জানিয়েছিলেন যে ক্যানসারের স্টেজ ৪-এ রয়েছেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে আমেরিকা যখন ফেটে পড়ল বিক্ষোভে, তিনি রাস্তায় নামতে না-পারলেও অন্তরে সেই প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।

John Lewis | newsfront.co
জন লুইস। ফাইল চিত্র

মনে মনে ভেবেছেন, এ তাঁরই সংগ্রাম। ষাটের দশক থেকে আমেরিকায় বর্ণবৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে অহিংস লড়াইয়ের অন্যতম মুখ ছিলেন জন লুইস। ১৯৮৭ সাল থেকে একাটানা জর্জিয়া থেকে ডেমোক্র্যাট রিপ্রেজেন্টেটিভ থেকেছেন লুইস। বাবা-মা ছিলেন আলাবামার ভাগচাষি। ছাত্রাবস্থা থেকেই বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন জন লুইস।

গণপরিবহণে সাদা আর কালো মানুষের আলাদা বসার ব্যবস্থা দেখে চুপ থাকতে পরেননি তিনি। তাই গণপরিবহণের এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ১৯৬১ সালে ওয়াশিংটন থেকে নিউ অর্লিয়েন্স পর্যন্ত বাসযাত্রা করেছিলেন যে ১৩ জন, তাদের মধ্যে লুইস ছিলেন সেই দলের শেষ জীবিত সদস্য। ১৯৬৩ সালের বিখ্যাত ‘ওয়াশিংটন পদযাত্রার’ কনিষ্ঠতম উদ্যোক্তাও তিনি।

১৯৬৫-র সেলমা থেকে মন্টগোমারির উদ্দেশে মিছিলে পুলিশের মারে লুইসের খুলি ফেটে গিয়েছিল। ‘ব্লাডি সানডে’ নামে কুখ্যাত হয়ে আছে সেই ঘটনা। তখন টেলিভিশনে গোটা দেশ দেখেছিল সেই ছবি। প্রতিবাদ জমাট বেঁধেছিল আরও বেশি করে। ওই বছরের শেষ দিকেই আমেরিকা কৃষ্ণাঙ্গদের ভোটাধিকার স্বীকার করে নেয়।

আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানে গৌতম বুদ্ধের বিরল মূর্তি ভাঙার অভিযোগে গ্রেফতার ৪

শুক্রবার জন লুইসের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা।শোকবার্তায় তিনি বলেছেন, “আমার ‘হিরো’ ছিলেন লুইস। সম্প্রতি জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে একটা ভার্চুয়াল জনসভা হয়েছিল সেই অনুষ্ঠানেই শেষবার লুইস আর আমি একসঙ্গে ছিলাম।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here