উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
জোড়াবাগানে ৯ বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাইল নির্যাতিতার পরিবার। তাদের দাবি দুজন নয় আরও কেউ আছে, যারা তাঁর মেয়ের উপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছে। বুধবার রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে নির্যাতিতার বাবা ও কাকাকে নিয়ে যান বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা।
পরিবার জানিয়েছে, ‘আমরা পুলিশের কাজে ও তাঁদের তৎপরতায় খুশি, কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছে গোটা ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িয়ে আছেন। পুলিশ তাদের এখনও আটক করেনি। এমনকি আমাদের হাতে এখনও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসেনি। ‘
অন্যদিকে, অনুপম হাজরা দাবি করছেন,’ তৃণমূলের কেউ নিশ্চই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। তাই পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করছে না।’
আরও পড়ুনঃ জোকায় একই পরিবারের তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ
প্রসঙ্গত, ‘ধর্ষণ’ নয়, জোড়াবাগানে নাবালিকাকে ‘গণধর্ষণ’ করা হয়েছে। এমনই এক প্রমাণ মিলেছে।লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, জোড়াবাগান কাণ্ডে এবার ৩৪ নম্বর ধারা যোগ করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নিদারুণ নৃশংসতার প্রমাণ মিলেছে।
আরও পড়ুনঃ নিজের মেয়েকে যৌনপেশায় নামিয়ে মধুচক্র থেকে গ্রেফতার দম্পতি সহ ৬
তদন্তে উঠে এসেছে, ৯ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে অভিযুক্ত কেয়ারটেকার রামকুমার ও মার্বেল মিস্ত্রি রণবীর তাঁতি ওরফে রঘুবীর দুজনেই। মদ্যপ অবস্থায় দুজনে মিলে এই ঘৃণ্য অপরাধ সংঘটিত করে। আবাসনের ছাদে নাবালিকার উপর প্রথমে যৌন নির্যাতন চালায় তারা। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরি দিয়ে গলা চিরে দেওয়া হয়।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ছুরি নিয়ে এসেছিল কেয়ারটেকার রামকুমার। আর নাবালিকার গলায় ছুরি চালিয়েছিল রণবীর ওরফে রঘুবীর। আকণ্ঠ মদ্যপান করে রামকুমারকে সঙ্গে নিয়ে কুকীর্তি সাধন করে রণবীর ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584