প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মানহানি মামলায় বেকসুর সাংবাদিক প্রিয়া রামানি

0
74

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

সাংবাদিক প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এমজে আকবর যে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন তাতে বেকসুর খালাস পেলেন তিনি। দিল্লির এক আদালত এদিন এই রায় দিয়েছেন। যৌন নিগ্রহের শিকার কোনও মহিলার মধ্যে সামাজিক অস্থিরতা কাজ করে। এই পর্যবেক্ষণের ওপর দাঁড়িয়ে এদিন রামানির পক্ষেই রায় দেন বিচারক রবীন্দ্র কুমার পাণ্ডে।

Priya Ramani | newsfront.co
ছবিঃ লাইভ ল

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সাংবাদিক এমজে আকবরের বিরুদ্ধে মি টু (Me Too) অভিযোগ এনেছিলেন সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। তার বিরোধিতা করে রামানির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছিল। প্রায় দু’বছর ধরে শুনানি চলে এই মামলার। যদিও প্রিয়া মুখ খোলার পর থেকে আকবরের একাধিক সহকর্মী মি টু কেসে ওই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তোলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন এমজে আকবর।

তারপরেই রামানির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা দায়ের করে তাঁকে নোটিশ পাঠান এমজে আকবর। তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী গীতা লুথরা। পাশাপাশি প্রিয়ার হয়ে সওয়াল করেন রেবেকা জন।

এদিন রায় দিতে গিয়ে অভিযুক্তের জবানবন্দির প্রসঙ্গ টেনে বিচারক বলেন, ‘অভিযুক্তের স্বপক্ষে দাঁড়াতে গেলে এই সম্ভাবনা উসকে দেওয়া যেতে পারে যে তাঁর জীবনের সত্যিটা জবানবন্দির মাধ্যমে উঠে এসেছে। ঠিক যে জবানবন্দির সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন অভিযুক্তের পক্ষে হাজির হওয়া প্রত্যক্ষদর্শী নিলুফার ভেঙ্কটরামন।‘

আকবরকে খানিকটা খোঁচা দিয়ে বিচারকের মন্তব্য, ‘সামাজিক মর্যাদা আছে এমন পুরুষ যৌন নিগ্রহকারী হতেই পারেন। তাই ভাবমূর্তির কাছে মর্যাদাকে বিকিয়ে দেওয়া যায় না।‘

আরও পড়ুনঃ লালকেল্লায় তলোয়ার উঁচিয়ে তাণ্ডবে অভিযুক্ত মনিন্দর গ্রেফতার

আকবরের তরফে আইনজীবী সওয়াল করেন ঘটনার এক দশক পর কেন মুখ খুলেছিলেন রামানি। এই সওয়ালের জবাবে রায়দানের সময় বিচারক বলেন, ‘একজন নারীর এক দশক পরেও তাঁর ক্ষোভ নিয়ে সরব হওয়ার অধিকার রয়েছে।‘

আরও পড়ুনঃ ভবানীপুর নয়, একমাত্র নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এদিকে মুখে একটা যুদ্ধজয়ের হাসি নিয়ে প্রিয়া রামানি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই জয় শুধু আমার নয়, দেশের নিগৃহীত সব মেয়েদের জয়। আমি শুধু সেই সব মহিলাদের হয়ে কথা বলেছি, যারা অন্যায়ের আগেও মুখ খুলেছেন এবং পরেও খুলেছেন। যারা আমার হয়ে মুখ খুলেছেন।

আমি মনে করি এই রায় খুব গুরুত্বপূর্ণ। অন্য মহিলাদের সাহায্য করবে সাহস করে এগিয়ে আসতে। পাশাপাশি সেই সব প্রভাবশালী পুরুষদের বার্তা দেবে যারা নিগৃহীতাকে অভিযুক্ত করে কোর্টে টেনে আনে। ভুললে চলবে না এই মামলায় আমি অভিযুক্ত ছিলাম। কারণ আমি সত্যটা বলেছিলাম।‘

যদিও রায় ঘোষণার অনেক আগেই এদিন হার স্বীকার করে এজলাস ছেড়েছিলেন এমজে আকবর। রামানির পরিবার সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here