নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
বিষ মাখানো রুটি খেয়ে মৃত্যু হল মধ্যপ্রদেশের এক বিচারক ও তাঁর ছেলের। এই রহস্যময় মৃত্যুতে এক মহিলা-সহ ছয় জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে এক তান্ত্রিকও। তন্ত্রমন্ত্রের কারণেই ওই বিচারক ও তাঁর ছেলেকে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করছে পুলিশ।গত ২০ জুলাই মধ্যপ্রদেশের বেতুল সেশন জাজ মহেন্দ্র ত্রিপাঠি ও তাঁর ৩৩ বছরের ছেলের রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়।
এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। বিষ মাখানো রুটি খেয়েই তাঁদের মৃত্যু হয় পুলিশ জানতে পারে। ছিন্দওয়াড়া জেলায় একটি এনজিও চালান বছর ৪৫-এর সন্ধ্যা সিং নামে এক মহিলা। তিনিই ওই বিচারক ও তাঁর ছেলেকে বিষ মাখানো রুটি খাওয়ান বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, নিজের বাড়িতে পুজো করার পর ওই বিচারকের পরিবারে কিছুটা আটা পাঠান সন্ধ্যা সিং।
আরও পড়ুনঃ সেকুলার, সোশ্যালিস্ট সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে বাদ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থে মামলা দায়ের
গত ২০ জুলাই সন্ধ্যা সিং-এর দেওয়া আটা নিয়ে বাড়ি আসেন বিচারক বেতুল মহেন্দ্র ত্রিপাঠি। সেদিনই তাঁর স্ত্রী ওই আটা দিয়ে রুটি তৈরি করেন। বিচারক ও তাঁর ছেলে রুটি খান, বিচারকের স্ত্রী খেয়েছিলেন ভাত। ওই আটার রুটি খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বেতুল মহেন্দ্র ত্রিপাঠি ও তাঁর ছেলে। বিচারকের ছোট ছেলেও ওই একই আটার রুটি খেয়েছিলেন। তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তবে এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
আরও পড়ুনঃ নকল বিল জমা দিয়ে নৌবাহিনীতে ৬.৭৬ কোটি টাকা তছরূপঃ সিবিআই
ছিন্দওয়াড়ার পুলিশ সুপার সিমলা প্রসাদ জানিয়েছেন যে সন্ধ্যা সিং নামে ওই মহিলা বিচারক ত্রিপাঠি ও তাঁর গোটা পরিবারকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। ছিন্দওয়াড়ায় থাকাকালীন বিচারক ত্রিপাঠির সঙ্গে সন্ধ্যা সিং-এর পরিচয় হয়। পরে তাঁদের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সম্প্রতি বেতুলে বিচারক ত্রিপাঠির সঙ্গে তাঁর পরিবার থাকতে আসে। সেই কারণে গত চার মাস ত্রিপাঠি ও সন্ধ্যা সিং-এর মধ্যে সাক্ষাত্ হয়নি। সেই রাগ থেকেই ত্রিপাঠির গোটা পরিবারকে সরিয়ে ফেলার চক্রান্ত তিনি করেন বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তে নামার পর পুলিশ সন্ধ্যা সিং ও তাঁর গাড়ির চালক সঞ্জুিকে প্রথমে গ্রেফতার করে। পরে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আরও চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584