মায়াপুরে ইস্কনের রথযাত্রার উদ্বোধনে বিচারক সম্বুদ্ধ চক্রবর্তী

0
146

শ্যামল রায়,নবদ্বীপঃ

নদীয়া জেলার মায়াপুর ইসকন মন্দিরে এবছর রথযাত্রার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।মায়াপুর ইস্কন আহুত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রমেশ দাস রথ যাত্রার চেয়ারম্যান অলয় গোবিন্দ দাস   ও আরেক  অন্যতম  কর্ণধর জয়ন্ত কুমার সাহা সহ অনেকে।
মায়াপুরে এ বছরে রথযাত্রা অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে ১৪ জুলাই শেষ হবে ২২ শে জুলাই।
সাংবাদিক সম্মেলনে ইসকন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে,এবছর রথযাত্রা শুভ সূচনা করবেন বিচারক সম্বুদ্ধ চক্রবর্তী। তিনি সোনার ঝাড়ু দিয়ে রথযাত্রার শুভ সূচনা করবেন। এই উৎসবে ভগবান জগন্নাথ ভাই বলভদ্র ও বোন সুভদ্রাকে নিয়ে সকলকে আশীর্বাদ করবেন। ইসকন এর তরফ থেকে সারা বিশ্বে এই রথযাত্রা উৎসব পালিত হবে। রথ যাত্রার প্রথম দিনে পুজো ভজন কীর্তন দীপন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিনামূল্যে প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা থাকবে। মায়াপুরের রথযাত্রায় ভগবান জগন্নাথ বলভদ্র সুভদ্রা কে শতাধিক ভোগ দিয়ে নিবেদন করা হবে। প্রায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটবে এই রথযাত্রায় জানিয়েছেন ইসকন কর্তৃপক্ষ।

রাজাপুর থেকে রথ যাত্রার শুভসূচনা হবে শেষ হবে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে। দীর্ঘ আট কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করবে রথ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন মায়াপুর ইস্কনের রথ। ইসকনের রথে রশ্মিতে হাত লাগান হিন্দুদের সাথে মুসলিমরাও।
দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এই রথ। রথ যখন দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে তখন ১৬ কুইন্টাল গজা বিতরণ করা হয় ভক্তদের মধ্যে যার আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ টাকার বেশি। ১৯৭৪ সাল থেকে মায়াপুরে ইসকনের রথযাত্রার আয়োজন হয়। সেই রথ আজ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ব্যাপকতা লাভ করেছে।

নিজস্ব চিত্র

ইসকনের দাবি পুরীর এবং মাহেশের রথের পরেই মায়াপুরের ইসকন এর রথের অবস্থানটা। সমস্ত দিক থেকেই মায়াপুরের রথযাত্রা ভিন্ন মর্যাদা এবং সমস্ত ক্ষেত্রেই আলাদা গুরুত্ব দাবী করে এবং ভক্তদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্যণীয়।
তাই মায়াপুরে রথযাত্রা কে ঘিরে টানটান উত্তেজনা এবং প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে রথ সাজানোর কাজ চলছে। আরো জানা গিয়েছে যে সি ভক্তিবেদান্ত প্রভুপাদ স্বামী মহারাজ শ বছর বয়স থেকেই রথের প্রচলন তিনি করেছিলেন তারপর বিশ্বজুড়ে তিনি মানব ধর্মের এবং মহাপ্রভু চৈতন্য দেবের আদর্শ প্রচার এবং প্রসারিত করেছেন।
এছাড়াও রথকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে‌। জয়ন্ত কুমার সাহা জানিয়েছেন যে রাজ্য পুলিশ বিভাগের পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা থাকবে এবং আমাদের সাথে সহযোগিতার মধ্যে দিয়ে

মায়াপুরের রথকে সার্বিক সুন্দর করবার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা করে থাকেন সেই সাথে আমাদের ভক্তরাও সার্বিক সহযোগিতা করেন।
তবে মায়াপুরের রথে পাণ্ডাদের দৌরাত্ম্য থাকেনা এই রথে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হাতে হাত দিয়ে রথের রশ্মী টেনে  ভগবানের কাছে প্রার্থনা এবং মনোবাসনা পূর্ণ করার প্রথম সোপান এই রথযাত্রা । তাই রথযাত্রা কে ঘিরে থাকবে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান এবং প্রসাদ বিতরণ হবে। বিশ্বের একাধিক কেন্দ্রে এই রথযাত্রা মহাসমারোহে উদযাপিত হবে জানিয়ে দিলেন ইসকন কতৃপক্ষ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here