নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ
পদত্যাগ পত্র হাতে জুনিয়র চিকিৎসকরা। নিজস্ব চিত্র
কর্তৃপক্ষের তরফে দিনের পর দিন ‘মানসিক চাপ’ তৈরী করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে ‘গণ পদত্যাগ’ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ৪০ জন জুনিয়র চিকিৎসক।
মুনির আলম, জুনিয়র চিকিৎসক। নিজস্ব চিত্র
তাদের অভিযোগ, অধ্যক্ষের কাছে তারা পদত্যাগপত্র দিতে গেলে তিনি তা তা গ্রহণ করেননি, উল্টে ‘ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে’ ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, কোন ধরণের কাউন্সিলিং ছাড়াই জরুরী ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্ত্তী সময়ে প্রায় প্রতিদিন ১২ ঘন্টা কাজ করতে হচ্ছে। মেডিসিনের হাউস স্টাফ হিসেবে নিয়োগ করা হলেও চিকিৎসকের অভাবে প্রায় সব বিভাগেই কাজ করতে হচ্ছে।ডা. পার্থপ্রতিম প্রধান,
অধ্যক্ষ বাঁকুড়া সম্মেলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র
কোভিড বিভাগে কাজ করতে তারা বিন্দুমাত্র পিছপা নন, তবুও ‘ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে’র হুমকি কেন দেওয়া হচ্ছে সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা। একই সঙ্গে দিনের বেশীরভাগ সময় কাজ করে যাওয়ার ফলে পড়াশুনা করার সুযোগ মিলছেনা। দিনের পর দিন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ মানসিক চাপ তৈরী করার ফলেই তারা ‘ইস্তফা’র ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে জানান।
পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করে পত্র।
এবিষয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থ প্রতিম প্রধান বলেন, হাসপাতালের প্রয়োজনে এদের নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু এরা সংখ্যায় প্রায় ৪৫ জনের মতো দিনে এক দু’ঘন্টা কাজ করে চলে যায়।
উপস্থিতিও অনিয়মিত। পুরো হাসপাতালের চিকিৎসক, শিক্ষক চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী সবাই যখন একযোগে লড়াই করছেন তখন এরা এই ধরণের কাণ্ড করছে। প্রত্যেককে শোকজ করা হয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
পায়েল রায়, জুনিয়র চিকিৎসক। নিজস্ব চিত্র
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584