নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
বিচারপতিরা আইনের ঊর্ধ্বে নন, প্রশান্ত ভূষণের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের আনা অবমাননার অভিযোগ অসাংবিধানিক, বিবৃতি দিয়ে প্রশান্ত ভূষণের পাশে দাঁড়ালেন জাস্টিস কার্নান। বিচারপতি সি এস কার্নান ২০১৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালে আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত হন এবং ছয় মাসের জেলের সাজা হয় তাঁর।
তিনি প্রশান্ত ভূষণের পাশে দাঁড়িয়েছেন, বলেছেন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক এবং এটিই সঠিক সময় বিচার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার, বর্তমান বা প্রাক্তন কোনো বিচারপতিই আইনের ঊর্ধ্বে নন। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে তার স্বচ্ছভাবে বিচার হওয়া প্রয়োজন।
জাস্টিস কার্নান সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বিচারপতিরাও সমান ভাবে উত্তর দিতে বাধ্য যেকোন সাধারণ নাগরিকের মতোই। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন, তাঁরাও যে বেতন পান তা জনগণের টাকাতেই হয়, তাহলে একই ভাবে দুর্নীতির প্রশ্ন উঠলে তাঁরাও জনগনের কাছে দায়বদ্ধ।
আরও পড়ুনঃ ভুল স্বীকারে আগ্রহী নন, সুপ্রিম কোর্টে জানালেন প্রশান্ত ভূষণ
এধরনের অভিযোগ উঠলে আদালত অবমাননার অভিযোগ তৈরি করা অসাংবিধানিক। তাঁর মধ্যে বিচারের প্রাথমিক আইন হল ভারতের সংবিধান। সংবিধানে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে সবকিছুর, তা যতটা জনসাধারণের জন্য ঠিক ততটাই বিচারপতিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যখন সংবিধান নাগরিকের মত প্রকাশের অধিকার দিয়েছে সেখানে কোন অধিকারে আদালত তা খর্ব করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ফের পিছিয়ে গেল বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায়
জাস্টিস কার্নান বর্ণনা করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে যখন অবমাননার অভিযোগ ওঠে তার বিচারের দায়িত্ব ছিল সাত সদস্যের বেঞ্চের ওপর, প্রশান্ত ভূষণের ক্ষেত্রে বিচারের ভার তিন সদস্যের বেঞ্চের হাতে, আবার এমন উদাহরণ আছে যেখানে অবমাননার অভিযোগের বিচারের ভার দুই সদস্যের বেঞ্চের ওপর ছিল অর্থাৎ এই মামলাগুলির জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি কোর্টের হাতে নেই।
তাঁর মতে, যেকোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা ফৌজদারি মামলা স্বচ্ছ এবং অন্যান্য মামলার মতো খোলা আদালতে বিচার হওয়া প্রয়োজন, রুদ্ধদ্বার নয়; প্রতিটি নাগরিকের জানার অধিকার আছে সেই মামলার গতিপ্রকৃতি এবং পদ্ধতি সম্পর্কে। জনসাধারণের সুস্পষ্ট অধিকার আছে বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে জানার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584