ভার্চুয়াল শুনানির পরিকাঠামোর অভাবে বিচারে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে, ক্ষুব্ধ বিচারপতি

0
60

ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্টঃ

কয়েকদিন আগেই ভার্চুয়াল শুনানির জন্য পরিকাঠামোজনিত ঘাটতির বিষয়ে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। তবে সঠিক পরিকাঠামোর অভাবে বিচারব্যবস্থায় বৈষম্য সৃষ্টি করছে কিনা তাঁর একটি নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে উঠে আসছে সে প্রশ্নও।

Kolkata highcourt

হাইকোর্টে ইন্টারনেট গতি অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় একটি মামলার ভার্চুয়াল শুনানির সময় এই বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে, প্রযুক্তিগত বিষয়ের দায়িত্বে থাকা এক অধিকারিককে শো-কজ করেন তিনি। ঘটনাচক্রে, তার পরেই বিচারপতি ভট্টাচার্যের অজ্ঞাতে ওই মামলাটি অন্য এজলাসে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার তিনি লিখিত ভাবে একটি নির্দেশ দিয়েছেন।

ওই নির্দেশে তিনি লেখেন, হাইকোর্টে সশরীরে শুনানি বন্ধ করে দেওয়ার ফলে প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দা, আর্থিক এবং প্রযুক্তির দিক থেকে দুর্বল আইনজীবী ও মামলাকারীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ভার্চুয়াল শুনানির ফলে শুধুমাত্র উচ্চ শ্রেণীর আইনজীবী ও মামলাকারীই বিচারের সুবিধে পাচ্ছেন। তিনি স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেন যে এই বৈষম্য সংবিধান বর্ণিত সাম্যের পরিপন্থী। বিচারপতি বলেন, ভার্চুয়াল শুনানির জন্য ১৫০টি পদের স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। এই পদগুলিতে নিয়োগের দায়িত্ব ছিল হাইকোর্ট প্রশাসনের, কিন্তু নিয়োগ আদৌ হয়নি।

আরও পড়ুনঃ করোনায় মৃতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের নির্দেশিকা তৈরিতে আরও ৪ সপ্তাহ সময় চাইল কেন্দ্র

অন্যদিকে বিচারপতি ভট্টাচার্যের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত বহু আইনজীবীই। তাঁরা বলছেন, এমন অনেক আইনজীবী রয়েছেন, যাঁদের ভার্চুয়াল শুনানিতে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। কম পারিশ্রমিকের এই আইনজীবীদের কাছে আইনি সাহায্য পান আর্থিক ভাবে দুর্বল বিচারপ্রার্থীরা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সে সুযোগ পাচ্ছেন না তাঁরাও। আবার হাই কোর্টের ইন্টারনেট ব্যবস্থায় সমস্যা থাকায় ভার্চুয়াল শুনানি অসমাপ্ত থাকছে, দেরি হচ্ছে বিচারেও।

আরও পড়ুনঃ দিল্লির যন্তর মন্তরে আজ থেকে শুরু ‘কিষান সংসদ’, চলবে ১৩ অগাস্ট অবধি

বিচারপতি ভট্টাচার্যের শো-কজের উত্তরে হাইকোর্ট প্রশাসন জানিয়েছে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে। বিচারপতি ভট্টাচার্য লিখেছেন, এই গতি বাড়ানোর কথা দীর্ঘদিন ধরে বলা হচ্ছে কিন্তু তা কাজে করার কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

তিনি লিখেছেন, “সব মোমবাতি শুধু নৈশভোজের টেবিল আলোকিত করার জন্য তৈরি হয় না। প্রতিবাদ মিছিলেও কিছু মোমবাতির প্রয়োজন হয়।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here