নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হয়ে যাবার পরে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর অনুমতি চেয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টে আবেদন করেন ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)-র সেমিকন্ডাক্টর টেকনোলজি অ্যান্ড অ্যাপলায়েড রিসার্চ সেন্টার (এসটিএআরসি)-র এক গবেষক। মামলার রায়ে আদালত জানিয়েছে মাতৃত্বকালীন ছুটির পর বাড়ি থেকে কাজ করা যাবে কি না, তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে সেই মহিলার কাজের ধরনের উপর। যদি তা বাড়ি থেকে করা সম্ভব হয়, শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই তিনি ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর অনুমতি পেতে পারেন।
ডিআরডিও-র ওই গবেষক ২০২০ সালের অগস্ট মাসে সন্তানের জন্ম দেন। ২০২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন। ২০২১ এপ্রিলে তাঁর প্রাপ্য সব ছুটি শেষ হয়ে যায়। এর পর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে, অফিসের বাকি সকলের সঙ্গে তিনিও ঐ সময় বাড়ি থেকে কাজ করেন বলেই তাঁর দাবি। এই সময় থেকে তাঁর বেতন জমা পড়া নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। তিনি কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন নিজের বেতন এবং মাতৃত্বকালীন ছুটির সময়ের সব পাওনা মেটানোর দাবি জানিয়ে।
মেটার্নিটি বেনিফিটস অ্যাক্ট-এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ঐ গবেষক দাবি করেন, সন্তানের ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত তাদের যত্নে ছুটি পাওয়ার সংস্থান রয়েছেআইনে। এই বিষয়ে বেঙ্গালুরুর সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হন সেই কর্মী। এরপর সংস্থার তরফে ২০২১ সালের মে মাসে তাঁকে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ হিজাব মামলায় কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড
এই মামলার শুনানি শেষেই কর্নাটকের হাইকোর্ট রায় দেয় যে বাড়ি থেকে কাজ করা যাবে কিনা তা নির্ভর করছে কাজের ধরণের ওপর। তবে এই গবেষক ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা দফতরের জন্য গবেষণার কাজে যুক্ত। যা কিছুটা গোপনীয় এবং জটিলও। ফলে এই কাজ বাড়ি থেকে করা যায় না, তা বোঝাই যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে কর্নাটক হাইকোর্ট।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584