নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
কেরলে কংগ্রেস-বাম সম্পর্ক চরম বিরোধিতার হলেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছিল কংগ্রেস-বাম সরকার। এমনকী জোট বেঁধে ধরনায় বসেছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য পিনারাই বিজয়ন এবং বিরোধী দলের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা চেন্নিথালা।
সিএএ-র মতো অসাংবিধানিক আইন সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাশ হয়ে আসার পরে কেরলের পিনারাই বিজয়ন কেরলবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন কেরলে সিএএ, এনআরসি কোনও কিছুই লাগু হবে না।
এ দিন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব পাশ করা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। তাঁদের বক্তব্য, সংবিধানকে লঙ্ঘন করেছে কেরলের বাম সরকার। বাংলার বিজেপি নেতাদের অনেকের বক্তব্য, এ ব্যাপারে সিপিএম ও তৃণমূলের কোনও তফাৎই নেই।
প্রস্তাব উত্থাপনের সময়ে পিনারাই বিজয়ন বলেন, “কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আরএসএস-এর অ্যাজেন্ডাকে বাস্তবায়িত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরাসরি সাম্প্রদায়িক লাইনে হাঁটছে কেন্দ্র। যা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছে।”
আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদ পুলিশ সুপার পদে পরিবর্তন, নবনিযুক্ত হলেন অজিত সিং যাদব
তাঁর কথায়, “কেরলের মাটিতে বহুদিন ধরে খ্রিষ্টান, হিন্দু ও মুসলিমরা একসঙ্গে বসবাস করেন। নতুন আইন সেই সম্প্রীতির ঐতিহ্যের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই মাটিতে বহু যুগ ধরে গ্রিক, রোমান ও আরবের মানুষজন এসেছেন। এখানকার ধর্মনিরপেক্ষতার একটা লম্বা ইতিহাস আছে। আমরা কিছুতেই তা ধুলোয় মিশতে দিতে পারি না।”
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, বাংলায় সিএএ-এনআরসি লাগু হতে দেবেন না। তা কার্যকর করতে হলে তাঁর মৃতদেহের উপর দিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুনঃ প্রযুক্তির অপব্যবহারের জন্য তিন বছরের কারাদন্ড চৈনিক গবেষকের
বিজেপির মুখপাত্রদের কথায়, কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যের আইনসভায় এই ধরনের প্রস্তাব পাশ করা যায় না। তাদের মতে, বাংলার মতোই কেরলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584