নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
চরম বিতর্কের জেরে সংশোধিত পুলিশ আইন কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত কেরালা সরকারের। রাজ্য সচিবালয়ের বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানান, সরকার সংশোধিত আইনটি প্রয়োগ করতে চায় না।সোশ্যাল মিডিয়ায় মত প্রকাশে হস্তক্ষেপ নয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি, আক্রমণাত্মক পোস্ট করলেই সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জন্য জেল না হলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছিল পিনারাই বিজয়ন সরকার, অধ্যাদেশ রাজ্যপালের সইও হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু বিরোধী ও সমাজকর্মীদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে সংশোধিত কেরালা পুলিশ আইন কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত নিল কেরল সরকার। বিতর্কিত ১১৮-এ ধারা সংযোজন স্থগিত রাখল কেরল সরকার।
আরও পড়ুনঃ বিশেও উন্নয়নের দেখা মিলল না সীমান্তের পিরোজপুর-বাজিতপুরে
সিপিআই (এম)-এর রাজ্য সচিবালয়ের বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন বলেন সরকার সংশোধিত আইনটি প্রয়োগ করতে চায় না। তিনি বলেন, সংশোধনী ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন মত এসেছে। যারা এলডিএফ সমর্থন করেন, যারা গণতন্ত্র সুরক্ষার পক্ষে কাজ করেন এমন অনেকেই এই সংশোধনী নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন; সব মতের বিরুদ্ধে গিয়ে সরকার সংশোধিত আইনটি কার্যকর করতে চায় না। রাজ্য বিধানসভায় বিস্তারিত আলোচনার পরে এবং সব পক্ষের মতামত শোনার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কেরালা পুলিশ অ্যাক্ট-এ ১১৮(এ) বলে এক নতুন ধারা আনা হয়েছিলো। তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয় এই সংযোজনীকে কেন্দ্র করে, বিরোধীরা বলেন এর ফলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিঘ্নিত হবে। যদিও কেরালার বাম শাসিত সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছিলেন, প্রধানত মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ আটকানো এবং কোনো ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার আটকানোই এই সংযোজনের উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুনঃ বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ
কেরালার আইনজীবী অনুপ কুমারণের অভিযোগ, সরকার বলছে এই আইন মানুষের অধিকার রক্ষা করবে কিন্তু আসলে এই আইনের সাহায্যে সরকার বিরোধী কন্ঠস্বর স্তব্ধ করাই বিজয়ন সরকারের উদ্দেশ্য। এর আগে ১১৮ (ডি) ধারা সুপ্রিম কোর্ট অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে বাতিল করে দিয়েছিল। কুমারণ জানান, তিনি এই আইনের বিরুদ্ধে কেরল হাইকোর্টে মামলা দায়ের করতে চলেছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584