পিয়া গুপ্তা, উত্তর ২৪ পরগনাঃ
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জার কারসাজি দেখাদেখি চলছে কালীপুজোয় এবারে কালিয়াগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী কসকো ক্লাব কোজাগরী লক্ষ্মী পূজাকে কেন্দ্র করে আর পাঁচজন যখন ব্যস্ত বাড়ি বাড়ি পুজো করতে, ঠিক তখনই উত্তরবঙ্গের মধ্যে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী কসকো ক্লাব লক্ষ্মী পূজার দিন থেকে খুঁটি পূজার মাধ্যমে এ বছরে তাদের শ্যামা মায়ের আরাধনা শুরু করে দিল।
প্রতিবছরই এই ক্লাব নিত্যনতুন কিছু থিমের উপর পুজো করে শুধুমাত্র কালিয়াগঞ্জবাসির কাছেই শুধু নয়, জেলা ছাড়িয়ে সমগ্র উত্তরবঙ্গবাসীর কাছে নজর কেড়ে ফেলেছে ইতিমধ্যে।
এবারও তারা নজর কাড়তে চলছে তাদের পুজোর মধ্য দিয়ে উত্তরবঙ্গবাসীর কাছে। জানা যায়, এবারের তাদের পুজোয় বিশেষ আকর্ষণ ভারতের প্রথম রাজস্থানের যোধপুরে দুর্গাপূজার সময় যে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা হয়েছিল, সেই আলোকসজ্জাকেই কসকো ক্লাব এবার পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে প্রথম তাদের ক্লাবের পূজোতে এনে সকলকে চমক দিতে চলছে। মন মাতানো ও চোখ বাঁধানো আলোর কারসাজিতে এবার যে নতুন মাত্রা পেতে চলছে কসকো ক্লাবের পূজা, তা নিঃসন্দেহে বলা যেতেই পারে।
কসকো ক্লাবের এবারের পুজো কমিটির সম্পাদক পিন্টু মোদক জানান, কসকো ক্লাব প্রতিবছরই শুধুমাত্র জেলাবাসীকে নয় সমগ্র উত্তরবঙ্গের মানুষদের কাছে একটা নজর কাড়া স্থান দখল করে আসছে। তাই এবারও তারা পিছিয়ে নেই। এবারও কালীপুজোয় তাই ধামাকা দিতে জোর কদমে মাঠে নেমে পরেছে কালিয়াগঞ্জ এর ঐতিহ্যবাহী কসকো ক্লাব । তবে এবারের ধামাকা কিন্তু ছোটখাটো নয়। সেই ধামাকা দিতে ক্লাবের প্রতিটি সদস্য লক্ষ্মী পূজার দিন খুঁটি পূজার মাধ্যমে শুরু করে দিলো তাদের প্রস্তুতি।
আপনারা কি জানেন এবার এই ক্লাবের বিশেষ আকর্ষণ কি। শুনলে অবাক হবেন। ক্লাবের পুজো কমিটির সম্পাদক পিন্টু মোদক জানান, এবারের দূর্গা পূজায় রাজস্থানের যোধপুরে যে প্যান্ডেল এ চোখধাঁধানো আলোকসজ্জা করা হয়েছিল এবার সেটাই করা হচ্ছে তাদের এখানে ও। যা পশ্চিমবঙ্গে প্রথম। তাই প্রতিবারের ন্যায় এবারও কসকো ক্লাব আলোড়ন সৃষ্টি করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ কুড়ি বছর পর অর্থনীতিতে ফের বাঙালির নোবেল জয়
তিনি বলেন এবারে তাদের পুজো যে ভাবে হচ্ছে তা সকলের কাছে নজর কাড়তে বাধ্য। কারণ একটাই যোধপুরের সেই চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জার পাশাপাশি থাকছে রাস্তার দু’ধারে নবদ্বীপের আলোর কারসাজি। এছাড়াও থাকছে পুজোর দিনগুলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। যেখানে প্রতিষ্ঠিত কোন নামিদামি সংগীত শিল্পী কে এবারে দেখা যেতে পারে। পিন্টু মোদক বলেন তাদের লক্ষ্য ভালো একটি পুজো তারা যাতে সকলকে উপহার দিতে পারেন।
অন্যদিকে ক্লাবের সভাপতি সুমিত দত্ত (বাবু) বলেন প্রতি বছরই তাদের ক্লাব একটা আলাদা রকম পুজো উপহার দিয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তিনি বলেন মানুষকে একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর পূজা উপহার দেওয়ায় তাদের লক্ষ্য। আর তাই সেই সুন্দর পূজা বারে বারে উপহার দেওয়ার ফলে সকলের কাছে কালিয়াগঞ্জ এর ঐতিহ্যবাহী কসকো ক্লাব প্রিয় হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন এবারও পূজো যাতে সকলে দেখতে আসেন তার জন্য তিনি সকলের কাছে অনুরোধ করেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584