সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
‘প্রগতিকে দাও গতি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ ৮ই মার্চ বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস।১৯৭৫ সাল থেকে প্রতি বছর সারা বিশ্বে এই দিনটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়।নারীদের ওপর হওয়া বৈষম্য, নির্যাতনের বিরুদ্ধে করা প্রতিবাদে।নারীদের জাগ্রত করাই নারী দিবস পালনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।নারীদিবসের দিন সুন্দরবনে অন্যচিত্র।
সাংসারিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে হাড়ভাঙ্গা খাটুনি সেই সব নারীদের তারা জানেই না নারী দিবস কি?অথচ তারা কেউ মাছের জাল বুনছে কেউবা ফেরি করার মতো ঘুরে ঘুরে ফেলে দেওয়া লোহা কুড়িয়ে কেউ মাছ ধরে অথবা ইঁটভাটায় কাজ করে সংসারের হাল ধরছেন।
আরও পড়ুনঃ নারী দিবসে অভিভাবকদের শপথ আঠারোর নীচে বিয়েতে ‘না
সুন্দরবনের নারীরা কিছুটা স্বাবলম্বী হয়েছেন ঠিকই কিন্তু দারিদ্র্যের করাল ছোবলে আজও জীর্ণ জীবন সঙ্গে রয়েছে স্বামীর নির্যাতন অত্যাচার,দক্ষিন সুন্দরবনে অধিকাংশ জায়গায়।কাকদ্বীপ ব্লকের গঙ্গাধরপুর,অক্ষয়নগর,আটেনম্বর কালিনগর,তীলকচন্দ্রপুর,বেনেপাড়া এইসব এলাকায় নব্বই শতাংশ মৎসজীবি।অভাব তাদের নিত্যসঙ্গী,সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে পুরুষদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উপার্জনের পথে পা বাড়িয়েছে নারীরাও।
নিউজফ্রন্ট প্রতিনিধিকে লক্ষ্মী সর্দার জানালেন নারী দিবস কি জানেন না,বাড়ির পুরুষ অন্যত্র খরচ করে ফেলে উপার্জনের টাকা তাই সংসারের হাল ধরতে পথে বেরিয়েছেন কায়িক পরিশ্রমে উপার্জন করে করছেন সংসার নির্বাহ।সরকারের উন্নয়নের স্পর্শ থেকে বঞ্চিত লক্ষ্মী।
কাদা মাখা গায়ে সামনে পাওয়া গেল রূপালী দাসকে।ছবি তুলে কি হবে জানতে চায় সে?পাল্টা প্রশ্ন নিউজফ্রন্ট প্রতিনিধির নারী দিবস আজ জানেন?কি হবে ওসব জেনে।ঘরে অভাব খেটে খায়।জানালেন পুরুষের একার উপার্জনে চলছে না সংসার তার উপর দেনার দায়ে উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছেন।তারা গর্বিত।
ঝাঁ চকচকে মঞ্চ আলো করে শহুরে নারী দিবস উদযাপনের আড়ম্বরের আড়ালেই কি থেকে যাবে লক্ষ্মী রূপালীদের লড়াই।সারা দিনের ঘাম ঝরানো পরিশ্রমের কি সঠিক মূল্য তারা পাচ্ছে কি না তা জানার কি কোন অধিকারই তাদের থাকবে না(?)
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584