শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
অনেকেই হয়তো জন্ম থেকে নিজের দেশকেও দেখেননি। কিন্তু শুনেছেন দেশের কথা, দেশে থাকা আত্মীয়দের কথা। তাই সেখানে যখন করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ বিপদের কথা শুনলেন, পিছিয়ে থাকতে চাইলেন না কলকাতায় থাকা ট্যাংরা-টেরিটি এলাকার বাসিন্দা চিনারা। তাই চাঁদা তুলে ১৬ লক্ষ টাকা দেওয়াই শুধু নয়, প্রচুর সংখ্যক মাস্কও কিনে পাঠালেন চিনে।
ভিনদেশির তকমা নিয়েও তারা এদেশে পড়ে রয়েছেন শুধুমাত্র পেশার তাগিদে। কিন্তু তাঁরাও মনেপ্রাণে হিমালয়ের ওপাশে থাকা হোয়াংহোর দেশকেই নিজেদের মাতৃভূমি বলে আঁকড়ে বেঁচে রয়েছেন। স্বদেশের সংস্কৃতি, রীতিনীতি, ধর্মীয় ও সামাজিক আচার বজায় রেখে চলতে চেষ্টাও করেন।
করোনা ভাইরাসের আক্রমণের খবর শুনে তাঁরাও প্রতিনিয়ত খবর নিতে শুরু করেন। পরিস্থিতির কারণে সশরীরে গিয়ে সাহায্য করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুনঃ বসন্ত উৎসব মিটলেই পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে নির্বাচন কমিশন
তাই আলোচনা শুরু হয় চিনা দূতাবাসের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, কলকাতার ট্যাংরা ও টেরিটি বাজার এলাকায় থাকা চিনারা প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা চাঁদা তুলে তা কলকাতার চিনা দূতাবাসের মাধ্যমে বেজিংয়ে পাঠিয়েছেন সে দেশে করোনায় আক্রান্ত মানুষদের চিকিৎসার জন্য। এই সংবাদের সত্যতা স্বীকার করেছেন কলকাতার চিনা কনসাল জেনারেল ঝা লিউ।
তিনি জানিয়েছেন, এই চাঁদার বড় অংশটাই উঠেছে ট্যাংরা থেকে। তারা কিনে দিয়েছেন কয়েক হাজার মাস্কও। তাদের আশা, সাহায্যের পরিমাণ নগণ্য হলেও তা অন্তত চিনের কিছু মানুষের চিকিৎসায় কাজে লাগবে। বিদেশে থেকে আপাতত এটুকুই তারা করতে পেরেছেন স্বদেশের মানুষের জন্য।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584