শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
আচমকাই কলকাতা থেকে যেন উধাও হয়ে গেল সমস্ত কনটেনমেন্ট জোন। বুলেটিনে কলকাতায় সারা রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখালেও আচমকাই কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ১৫০০ থেকে কমে দাঁড়াল মাত্র ১৮। নতুন এই তথ্যের রীতিমতো চমকে গিয়েছেন শহরবাসী।
কিন্তু কোন জাদুবলে পাল্টে গেল সমস্ত কিছু? জানা গিয়েছে এর পেছনে রয়েছে পুরসভার নতুন সংজ্ঞা বদল। প্রসঙ্গত রাজস্ব আদায় সহ অন্যান্য কাজকর্ম শুরুর লক্ষ্যে বারবারই কলকাতায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমাতে নতুন নীতি প্রয়োগ করেছে পুরসভা। এবার এর পিছনে রয়েছে আবার সেই নতুন নীতি প্রয়োগ।
এই নীতি অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণ হলে কন্টেনমেন্ট জ়োনের বদলে সংশ্লিষ্ট বাড়ি বা ফ্ল্যাট চিহ্নিত হবে ‘আইসোলেশন ইউনিট’ হিসেবে। কোনও রাস্তা, লেন বা গলিতে অনেকে সংক্রমিত হলে সেই রাস্তাটি বন্ধ করে কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হবে। দু’-একটি করোনা সংক্রমণ হলে সংশ্লিষ্ট বাড়িটিকে আইসোলেশন ইউনিট বলা হবে। আশপাশের বাড়ির বাসিন্দারা স্বাভাবিক জীবন কাটাবেন।
আরও পড়ুনঃ বকেয়া রাজস্ব আদায় করতে এবার ১০০ শতাংশ সুদ মুকুবের ভাবনা পুরসভার
সেই কারণেই কনটেন্টমেন্ট জোন রাতারাতি পাল্টে গিয়েছে আইসোলেশন ইউনিটে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৭ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত মহানগরে আইসোলেশন ইউনিটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৭২। আর রবিবার পর্যন্ত কন্টেনমেন্ট জ়োন মাত্র ১৮।
রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ বলেন, ‘‘কনটেনমেন্ট এলাকার সংখ্যা এখন রোজই কমবে। বাড়বে আইসোলেশন ইউনিটের সংখ্যা।আইসোলেশন ইউনিট তৈরি করে শুধু সংক্রামিতের বাড়ি বা ফ্ল্যাটটিই চিহ্নিত করে দিলে সর্বত্র জনজীবন স্বাভাবিক থাকছে।
আগে কি রকম ছিল কনটেনমেন্ট জোনের নিয়ম? তখন প্রথমে এক জন করোনা রোগী মিললেই গ্রামীণ এলাকায় পুরো গ্রাম পঞ্চায়েত এবং শহরে পুরো ওয়ার্ডকে কন্টেনমেন্ট এলাকা ঘোষণা করা হত। তার বাইরে তিন কিলোমিটার পরিধির এলাকায় ছিল বাফার জ়োন।
আরও পড়ুনঃ করোনা জয়ের লক্ষ্যে কলকাতায় প্রথম মেডিকা হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে প্লাজমা ব্যাঙ্ক
সংক্রমণ বাড়তে শুরু করার পরে গ্রামীণ এলাকায় একটি গ্রাম এবং শহরে লেন বা বাই লেন বন্ধ করে কন্টেনমেন্ট জ়োন তৈরি করা হচ্ছিল। সেই হিসেবেই কলকাতায় প্রায় ১৮০০ কন্টেনমেন্ট জ়োন তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এখন কলকাতার ১৪১টি ওয়ার্ডেই করোনা মিলেছে। আর করোনা সংক্রমণ যে খুব সহজে বিদায় নেবে, এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সারা কলকাতাকে আটকে রাখার কোন মানে হয় না, এমনটাই মত পুর আধিকারিকদের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584