শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
সোমবার থেকে রাজ্যের সব আদালতে কর্মী সংখ্যা অর্ধেক বা তার থেকেও কম করে দেওয়ার নির্দেশ। আদালত চত্বরে জমায়েত কমাতেই এমন নির্দেশ হাইকোর্ট প্রশাসনের তরফে।
পাশাপাশি জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির সমস্ত কাজ স্থগিত করে দেওয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে। করোনা আতঙ্ক পরিস্থিতির মোকাবিলায় রবিবার হাইকোর্টে বিশেষ বৈঠকে বসেন ৩ বিচারপতি।

বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বৈঠকে বসেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রের নির্দেশিকা মাথায় রেখে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৈঠক থেকে। রবিবার দুপুরে হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে আদালত চত্বরে করোনার করণীয় ঘোষণা করেন।
জমায়েত কমাতে কলকাতা হাইকোর্টের সোমবার থেকে স্বাভাবিক কাজকর্ম হবে না। একমাত্র জরুরী মামলাগুলির শুনানি করবেন বিচারপতিরা। জরুরি শুনানির মামলা কোনগুলি হবে তা সোমবার থেকে এজলাসে জানিয়ে দেবেন হাইকোর্টের বিচারপতিরা।

হাইকোর্টের মূল ভবনের এ, বি, ই তিন প্রবেশদ্বারে সোমবার থেকে থার্মাল গানের ব্যবহার হবে। থার্মাল গান বসানো হবে হাইকোর্টের অন্য দুই ভবনের প্রবেশদ্বারেও।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যপালের কোন কাজ থাকেনা,কাশ্মীরের রাজ্যপাল প্রায়ই মদ খান: গোয়া রাজ্যপাল
কারোর শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা থার্মাল গানে ধরা পরলেই বিশেষ চিকিৎসকদের কাছে পাঠানো হবে। সোমবার থেকে বিচারপতি, আইনজীবী এবং মামলাকারীদের থার্মাল স্ক্যানারের গন্ডি পেরিয়ে হাইকোর্টে প্রবেশ করতে হবে। রাজ্যের অন্য সব আদালতের কর্মী সংখ্যা অর্ধেক বা তারও কম করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্ট প্রশাসনের তরফে। রোটেশন ভিত্তিতে কর্মীরা কাজ করবেন এখন থেকে আদালতে। সেক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকা কর্মীদের অন ডিউটি বলেই গণ্য হবে।
নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জেল থেকে আসামিদের বা অভিযুক্তদের আদালতে পেশ না করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই শুনানি সম্পন্ন করতে। ফলতঃ সোমবার থেকে রাজ্যের আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্ম স্তব্ধ হওয়ার আশঙ্কা। কলকাতা হাইকোর্টের তিন ভবনের মধ্যে আইনজীবিদের বার অ্যাসোসিয়েশন কক্ষ রয়েছে। এই কক্ষগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকোর্ট প্রশাসন। আইনজীবীদের সঙ্গে জুনিয়র ইন্টার্ন রা হাইকোর্টে প্রবেশ করতে পারবেন না। পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার সব আদালত চত্বরে মজুত রাখার নির্দেশ জারি হয়েছে।
জেলা বিচারকদের সংশ্লিষ্ট আদালত চত্বরগুলির সাফসুতরো বজায় রাখতে বিশেষ নজরদারি রাখার নির্দেশও জারি করেছে হাইকোর্ট প্রশাসন। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায় জানান, ” আদালত চত্বর গুলিতে জমায়েত কম করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন মাননীয় বিচারপতিরা।
হাইকোর্টের ক্ষেত্রে যে যে পদক্ষেপ করা হবে জমায়েত কমাতে, অনুরূপ পদক্ষেপ নিম্ন আদালতের ক্ষেত্রেও নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা জজদের।” ২০ মার্চ আদালত চত্বরের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ফের পর্যালোচনায় বসবেন বিচারপতিরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584