‘টিকার দীর্ঘলাইনে কেন দাঁড়াতে হচ্ছে বয়স্কদের?’ টিকা নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য

0
69

মোহনা বিশ্বাস, কলকাতাঃ

রাজ্যে টিকার চাহিদা বাড়লেও ক্রমশ কমছে টিকার সংখ্যা। সরকারি হাসপাতালে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিতে গেলে লাইন দিতে হচ্ছে আগের দিন রাতে। আবার কোথাও কোথাও ভোর পাঁচটা থেকেই লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে আমজনতাকে। এই লাইনে দাঁড়াচ্ছেন যুবক যুবতী থেকে শুরু করে বয়স্করা সকলেই। কখনও কখনও ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না টিকা। ফলে মেজাজ হারাচ্ছেন অনেকেই, অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা।

Kolkata highcourt
নিজস্ব চিত্র

বেশ কয়েক মাস ধরে এই ঘটনা ঘটছে গোটা রাজ্যে। এবার টিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। বয়স্কদের কেন টিকার দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে, রাজ্য সরকারকে এবার সেই প্রশ্ন করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু রাজ্যই নয়, আদালত প্রশ্ন করেছে কেন্দ্রকেও। রাজ্যকে কত টিকা দেওয়া হয়েছে তার হিসাব কেন্দ্রকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

জোভেরিয়া সাব্বার করা একটি মামলা সহ টিকা সংক্রান্ত মোট ৬টি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। আজ সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি। আর সেখানেই টিকাকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। কেন্দ্র বিভিন্ন রাজ্যকে কত টিকা দিয়েছে, তাও জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের আইনজীবীকে।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ‘খেলা হবে’র পাল্টা বিজেপির ‘বাংলা বাঁচাও সপ্তাহ’, পালিত হবে ৯ অগাস্ট থেকে ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত

এছাড়া রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, বয়স্ক মানুষদের টিকার লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে কেন? গ্রামে অনেকেই টিকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠছে। কত মানুষকে রাজ্য সরকার টিকা দিয়েছে, কারা টিকা নিয়ে অসুস্থ হয়েছেন, বৃদ্ধাশ্রমগুলিতে টিকাকরণ শেষ হয়েছে কি না, প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদের কত শতাংশকে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেই সব প্রশ্নও তোলেন বিচারপতিরা।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ, একদিনে মৃত ১২

আদালতের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ১ কোটি ৫৮ লক্ষ মানুষকে প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪৫ লক্ষ মানুষ দুটি ডোজ পেয়েছেন। মোট ২ কোটি ৩ লক্ষের কিছু বেশি মানুষ সরকারি জায়গা থেকে টিকা পেয়েছেন। বেসরকারি জায়গা থেকে টিকাকরণ হয়েছে ২৭ লক্ষের। রাজ্য জানিয়েছে গ্রামেও চলছে টিকাকরন প্রক্রিয়া।

ইতিমধ্যেই এই টিকাকরণ নিয়ে পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান, উত্তর ২৪ পরগনার জনসংখ্যা ১ কোটির বেশি। সেখানে সরকারি কোনও হাসপাতালে একটিও ভেন্টিলেটর নেই। এরপরই বেসরকারি হাসপাতালের জন্য কড়া মনোভাব দেখান বিচারপতিরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here