মোহনা বিশ্বাস, কলকাতাঃ
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্য সরকার ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরুর নির্দেশ দেয়। আর তারপরই এই প্রকল্পে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কিছু রেশন ডিলার। পুজোর আগেই হাই কোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁদের করা স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। এবং একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, যে পরবর্তীকালে যদি আইন না মেনে রাজ্য সরকার এই প্রকল্প চালু করে, তাহলে ডিলাররা আদালতে আসতে পারেন।
রেশন ডিলারদের দাবি ছিল, তাঁদের কাছে বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার মতো অর্থ ও কর্মচারী নেই। কিন্তু, সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের বাড়িতেই রেশন পৌঁছে দিতে হবে বলে জানানো হয়েছিল আদালতের তরফে।
এরপর রাজ্য জানিয়েছিল যে, দুয়ারে রেশনের পাইলট প্রজেক্টে যদি কোনো ডিলার অংশ না নেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৮ অক্টোবর এমনই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য। সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবি নিয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রেশন ডিলারদের একাংশ। কিন্তু এবার সেই আবেদনও খারিজ করে দিল আদালত।
আরও পড়ুনঃ বেসরকারি নার্সিংহোমগুলিকে নিতে হবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, নির্দেশ অমান্য করলে বাতিল হবে লাইসেন্সঃ মমতা
এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি সারাফ ডিভিশন বেঞ্চের তরফে আবেদনকারীদের উদ্দেশে বলেন, “দুয়ারে রেশন প্রকল্প ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য কি কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে?” বিচারপতির এই যুক্তির বিপক্ষে দাঁড়িয়ে সেরকম কোনও ঘটনার কথা বলতে পারেননি রেশন ডিলাররা।
আরও পড়ুনঃ হাইকোর্টেও হল না সমাধান, স্বাস্থ্যসচিবকে আরজি করের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ
এরপর বিচারপতি শেখর ববি সারাফ আরও বলেন, “দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালুর পর রাজ্য যখন কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি, তখন আদালত কীভাবে আগাম কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে? দুয়ারে রেশনের পাইলট প্রজেক্টে অংশ না নিলে রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে রাজ্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতেই পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে দেখতে হবে, যে ডিলারদের বিরুদ্ধে ঠিক কী ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করছে রাজ্য, সেই বুঝেই ব্যবস্থা নেবে আদালত।” সারাফের এই কথায় স্বস্তি মেলে রাজ্যের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584