শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
বেহালায় একসঙ্গে ১০০ জোম্যাটো কর্মী শার্ট পুড়িয়ে প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, ভারতীয় জওয়ানদের রক্তমাখা ভাত পরিবারের মুখে তুলে দিতে পারব না। এবার তাদের পথ অনুসরণ করেই অভিনব প্রতিবাদে সামিল হল শহরের হোটেল-রেস্তোরাঁগুলি। রবিবার থেকেই শহরের একাধিক হোটেলের সামনে ঝুলছে, CHINESE BOARDERS ARE NOT ALLOWED. অর্থাৎ চিনা হলে ঠাঁই নেই এই শহরের হোটেলে।
উত্তপ্ত লাদাখ সীমান্তের আচ লেগেছে শহর কলকাতাতেও।জাতীয়তাবাদে উন্মত্ত হয়ে এই শহর ছুঁড়ে ফেলেছে চিনা পণ্যও। এবার এই শহরের হোটেলের দরজা বন্ধ হয়েছে চিনা নাগরিকদের জন্য।
মধ্য কলকাতার পার্ক স্ট্রিট, রয়েড স্ট্রিট, মির্জা গালিব স্ট্রিট! শহরে ব্যবসা করতে আসা চিনা নাগরিকদের চেনা ডেরাগুলোর অন্যসতম। সীমান্তে ভারত-চিন সংঘর্ষে চিনা নাগরিকদের জন্য বন্ধ হয়ে গেল এই শহরের একাধিক হোটেলের দরজা।
আরও পড়ুনঃ শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা ছেলের, শোকে মৃত্যু বাবারও
পার্ক ইন হোটেলের মালিক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তে আমাদের সেনা জওয়ানদের ওপর ওরা হামলা চালাবে! আর আমরা ওদের হোটেলে ওয়েলকাম জানাব, এটা হতে পারে না। আমাদের হোটেলের দরজা আজ থেকে ওদের জন্য বন্ধ।’
মির্জা গালিব স্ট্রিটের প্রেসিডেন্সি ইন কিংবা ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের হোটেল বেঙ্গলের ছবিটা একই রকম। হোটেলের প্রবেশদ্বার থেকে রিসেপশন। সর্বত্র সাদা কাগজে কম্পিউটার প্রিন্টে ছাপা CHINESE BOARDERS ARE NOT ALLOWED! বার্তাটা পরিষ্কার,প্রেসিডেন্সি ইন হোটেলের ম্যানেজার রাজা কিংবা হোটেল বেঙ্গলের মালিক সাব্বির আহমেদ বলছিলেন,‘আর্থিক ক্ষতি হলে হবে। কিন্তু চিনাদের সঙ্গে কোন ব্যবসায়িক সম্পর্কে নেই। হোটেলে জায়গা দেওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না।’
আরও পড়ুনঃ নামছে না বেসরকারি বাস, ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অনড় বাসমালিকদের সংগঠন
এই শহরের উপপ্রান্তে রয়েছে আস্ত একটা চিনে পাড়া। আনলক পর্বে সেখানেও মন্দা ব্যবসার ছোঁয়া। শহরের ট্যাংরার চিনা বাসিন্দারা অবশ্য দাঁড়াতে চান ভারতবর্ষের পাশেই। কিন্তু পারতপক্ষে চাইনিজদের ছায়া মাড়াতে রাজি নয় কলকাতা। শহরের একাধিক হোটেলে চিনা নাগরিক নিষিদ্ধ যেন সেটাই স্পষ্ট করে দিল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584