৩ দিন আগে থেকেই কলকাতার মণ্ডপগুলিতে শুরু গণেশ প্রবেশ

0
86

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

আগে সেপ্টেম্বরে বিশ্বকর্মা পুজো দিয়েই শুরু হত কলকাতার উৎসবের মরসুমের শুভ সূচনা। কিন্তু বছর কয়েক ধরেই আগস্ট মাসে গণেশ পুজো দিয়ে উৎসবের শুভ উদ্বোধন হচ্ছে কলকাতায়। আর সেই কারণেই আগস্টে গণেশ পুজো থেকেই পুজোর জন্য বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে হচ্ছে পুলিশকে। এ বছরও কলকাতার বড় প্রতিমাগুলির ওপর নজরদারি করার পরিকল্পনা করে ফেলল কলকাতা পুলিশ।

Ganapati Bappa | newsfront.co
ফাইল চিত্র

চলতি বছরেও ২২ আগস্ট গণেশ পুজো। পশ্চিমের রাজ্যগুলির মত এ রাজ্যেও বেশ কয়েক বছর ধরেই বিশালাকায় গণেশ পুজোর প্রচলন রয়েছে। করোনা আবহে প্রাথমিক ভাবে ছোট করে গণেশ পুজো করার কথা আলোচনা হলেও সম্প্রতি এলাকায় খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, রাজ্যে সুস্থতার হার বাড়তে শুরু করায় এবং করোনার বিপদ উদ্ধারের প্রার্থনায় ফের বিশালাকায় গণেশ পুজো হতে চলেছে এ বছরেও। কিছু পুজো উদ্যোক্তা করোনা আবহে গণপতির উচ্চতা খর্ব করলেও বড় প্রতিমার সংখ্যাও খুব কম নয়।

আরও পড়ুনঃ কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যৌথ সমন্বয়ে নাগরিকদের চিকিৎসার পরামর্শ দেবে আইএমএ

পুলিশ জানিয়েছে, তিন দিন আগে থেকেই গণেশ প্রতিমাগুলি মণ্ডপে নিয়ে আসা শুরু হবে। তার পিছনেও বিশেষ কারণ রয়েছে। ২২ আগস্টের আগে দু’দিন, অর্থাৎ ২০ ও ২১ আগস্ট রাজ্যে পূর্ণ লকডাউন। ফলে এই দু’দিন কোনওমতেই কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা নিয়ে আসা সম্ভব নয়। তাই বেশিরভাগ গণেশ পুজোর উদ্যোক্তা মঙ্গলবার বা বুধবার প্রতিমা নিয়ে আসবেন মণ্ডপে। খুব অল্প সংখ্যক উদ্যোক্তা

আরও পড়ুনঃ ক্ষুদ্রতম ভারতের ম্যাপ এঁকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি স্নেহার

২২ আগস্ট ভোরেও মণ্ডপে আনতে পারেন গণেশ প্রতিমা। তাই আগামী মঙ্গল ও বুধবার থেকেই বড় গণেশ প্রতিমাগুলির ওপর নজর থাকবে পুলিশের। সেগুলি কোন রাস্তায় নিয়ে আসা-যাওয়া হচ্ছে, কবে নাগাদ কোন ঘাটে সেগুলি বিসর্জন করা হবে, সেই বিষয়ে অগ্রিম সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সেরে রাখতে চাইছে পুলিশ। যাতে লকডাউনের মধ্যেও কোনওরকম সমস্যা না হয়।

প্রসঙ্গত, গণেশ পুজোর এই রমরমা চলতি দশকের মাঝামাঝি সময় থেকেই বেড়েছে কলকাতায়। আগেও এই পুজো কলকাতা নিবাসী কিছু অবাঙালি করলেও অতটা নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হত না পুলিশকে। কিন্তু
বছর তিনেক আগে বড় গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের সময় ঘটেছিল এক বড় বিপর্যয়।

মধ্য কলকাতার নিউ মার্কেটের একটি ক্লাব গণেশ পুজোর আয়োজন করে, যেখানে ২০ ফুটের প্রতিমার উচ্চতা ছিল। বিসর্জনের সময় গঙ্গার ঘাটের কাছে চক্র রেলের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় ওই বড় প্রতিমা। তাতেই মৃত্যু হয় ক্লাবের তিনজন কর্মকর্তা ও সদস্যের, আহত হন ৬ জন। এই ঘটনার পর থেকেই সতর্ক হয়েছে পুলিশ।

সাজসজ্জা-সহ যাতে প্রতিমার উচ্চতা কোনওমতেই ১৮ ফুটের বেশি না হয়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে উত্তরের কুমোরটুলি বা দক্ষিণের পোটোপাড়ায় গণেশ প্রতিমা কেনার সময় ভিড় না হয় এবং প্রতিমা কেনার সময় পারস্পরিক দূরত্ব বজায় থাকে, সে দিকেও নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here