শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
দীর্ঘ আড়াই মাস লকডাউনে একেবারে তলানিতে ঠেকেছে পুরসভার আয়। তার মধ্যে করোনা এবং আমফানের ধাক্কায় অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে পুরসভার খরচ। এমন অবস্থায় পুরসভার আয় বাড়াতে সম্পত্তি কর আদায়ের জন্য ১০০ শতাংশ সুদ এবং জরিমানা মুকুব করার কথা ভাবছে কলকাতা পুরসভা।
মার্চ মাস থেকে সেভাবে আদায় হয়নি রাজস্ব। তাই বকেয়া রাজস্ব আদায় করতে এবার তৎপর হল পুরসভা।
করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে বেগ পেতে হচ্ছে কলকাতা পুরসভাকে। এদিকে মহামারীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং আমফান মোকাবিলায় কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষকে। এই পরিস্থিতিতে পুর কোষাগার চাঙ্গা করতেই এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। সে ক্ষেত্রে এভাবেই সুদ মকুব করে শহরবাসীকে উৎসাহ দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি কলকাতা পুরভবনে রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন রাজস্ব বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য অতীন ঘোষ। সূত্রের খবর, শহরবাসী যাতে বকেয়া কর মেটাতে আগ্রহী হন সেজন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে এ দিনের বৈঠকে।
আরও পড়ুনঃ একশো দিনে ১ হাজার লাঞ্চবক্স বিলি করে নজির নিউ আলিপুর থানার
এতদিন পর্যন্ত শহরের কোন করদাতার কর বকেয়া থাকলে সুদের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া যেত সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ এবং জরিমানার ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া যেত ৯৯ শতাংশ। তবে এই ছাড় দেওয়ার ক্ষমতা ছিল শুধুমাত্র কলকাতা পুরসভার মেয়রের। বর্তমান পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই এই সুদ এবং জরিমানা ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার কথা চিন্তা ভাবনা করছে কলকাতা পুরসভা।
সূত্রের খবর, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৩১মার্চ পর্যন্ত যে সমস্ত করদাতার কর বকেয়া রয়েছে তাদের ব্যাপক হারে জরিমানা এবং সুদ ছাড়ার কথা চিন্তা ভাবনা করছে পুরকর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে অনুমতি চেয়ে পুর নগরোন্নয়ন দফতরে একটি চিঠিও লিখেছেন অতীনবাবু।
আরও পড়ুনঃ কুমারগঞ্জে কংগ্রেসের হাত শক্ত করল ৩০০ জন যুবক
পুরসূত্রের খবর, কর্তৃপক্ষ চাইছে যদি এই স্কিম চালুর অনুমতি দেয় পুর নগরোন্নয়ন দফতর সেক্ষেত্রে নতুন নিয়মে প্রথম ৬ মাসের মধ্যেই যে সমস্ত করদাতারা আবেদন জানাবেন কর জমা দেওয়ার জন্য তাদের জরিমানা এবং সুদ ১০০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হতে পারে নতুন নিয়মে।
পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে যে সমস্ত করদাতারা আবেদন জানাবেন কর জমা দেওয়ার জন্য তাদের জরিমানা ৯৯ শতাংশ এবং সুদ ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে এই নতুন নিয়ম লাগু হবে কি না, তা পুরোপুরি নির্ভর করছে রাজ্য পুর নগরোন্নয়ন দফতরের ছাড়পত্রের ওপর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584