শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
মাত্র কয়েক মাসের পরিচিতিতেই বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে কোভিড-১৯। কিন্তু কলকাতা পুলিশ বহু আগে থেকেই এই রোগটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।

জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডে প্রত্যেক বছর একবার করে করোনা প্রতিষেধক দেওয়া হয়। জন্মের পর থেকেই শুরু হয় এই করোনা ইনজেকশন দেওয়ার কাজ। তবে উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে কোভিড-১৯ নয়, দেওয়া হয় ‘ক্যানাইন করোনাভাইরাস‘-এর ইঞ্জেকশন।
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যে মানুষের রোগ নয়, মূলত পশুদের থেকে পশুতে সংক্রামিত হয়, এমন দাবি বহুকাল থেকেই করে আসছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের দাবি, বিভিন্ন পশুদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উদাহরণ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ সীমান্তের শহরে করোনা পজিটিভ, আতঙ্কে উত্তর দিনাজপুর
সাম্প্রতিক সময়ে যে করোনা ভাইরাসের যে ধরন অর্থাৎ কোভিড-১৯ মানবসমাজে মহামারীর আতঙ্ক ছড়িয়েছে, সেটি প্রাকৃতিক না ল্যাবে প্রস্তুত, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিতর্ক চলছে। কিন্তু অন্যান্য ধরনগুলি আগে থেকেই মানুষের জানা থাকার ফলে পশুদের প্রতিষেধক দেওয়া থাকে।
মূলত কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডের ভিতরেই দেওয়া হয় এই ইঞ্জেকশন। ডগ স্কোয়াডের জন্য যে পশু চিকিৎসক রয়েছে, তিনিই এই ইঞ্জেকশন দিয়ে থাকেন। যেহেতু বছরে একবার করে এই ইনজেকশন দিতে হয়, তাই সারা বছরই ডগ স্কোয়াডে মজুত রাখা হয় ‘ক্যানাইন করোনাভাইরাস’ ইঞ্জেকশন।
কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডের দায়িত্বে থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ পান্ডে বলেন, “করোনা ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে বছরে একবার প্রত্যেকটি কুকুরকে জন্মের পর থেকে বছরে একবার করে ক্যানাইন করোনাভাইরাস ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়।
এটি কলকাতা পুলিশের নিয়মেই রয়েছে। এছাড়া কুকুরদের স্নানের জন্য হার্বাল স্যানিটাইজারও ব্যবহার করা হচ্ছে।’
তিনি জানান, আয়ুর্বেদিক কলেজের পরামর্শ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে হার্বাল স্যানিটাইজার। ১০ লিটার জলে ১ কেজি নিমপাতা জাল দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে তার মধ্যে কর্পূর ও ফিটকিরি নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই হার্বাল স্যানিটাইজার।
ডগ স্কোয়াডের কুকুররা বাইরে ডিউটিতে গেলে ফিরে আসার পর হার্বাল স্যানিটাইজার দিয়ে ভাল করে স্নান করানো হচ্ছে। এতে এরা এবং এদের মালিকরাও জীবাণুমুক্ত থাকছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584