ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্ট:
১৮মার্চ থেকে ১৮ই মে পর্যন্ত গত একমাসে কভিড ১৯ সংক্রান্ত ১.৩ লক্ষ ভুয়ো পোস্ট এবং গুজব সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এই পিরিয়ডে ২৭০টি মামলা ও ১৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ভুয়ো পোস্ট ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে।কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ অফিসার জানিয়েছেন,”আমরা ভুয়ো পোস্টের মহাপ্লাবন দেখছি।”
সংবাদ সংস্থা দ্যা প্রিন্ট সূত্রে জানা গেছে অন্ততপক্ষে এই জাতীয় ২৪টি কেসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নাম জড়িয়েছে। তাদের মধ্যে জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয় বর্গী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান অমিত মালভ্য , সংসদ লকেট চ্যাটার্জি, অর্জুন সিং ও সুভাষ সরকার অন্যতম। পোস্টগুলোর মধ্যে রয়েছে বেশকিছু সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক পোস্ট। ইতিমধ্যে এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
কভিড১৯ অতিমারি বাংলায় শুরু হওয়ার পর থেকেই কলকাতা পুলিশ ভুয়ো পোস্ট এবং গুজবের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে।
ঐ পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন যে শুরুতে গুজব গুলি ছিল পরিসংখ্যান, গোপনে মৃতদেহ পুঁতে দেওয়া, ডাক্তারদের রেইনকোট পরে কাজ করা ইত্যাদি সম্বন্ধীয়। কিন্তু পরের দিকে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক পোষ্টের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে হুগলির ভদ্রেশ্বরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পর সেটা এত বেড়ে যায় যে তিন জেলার বেশকিছু মহকুমায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করতে হয়।
বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয় বর্গী স্বীকার করে নেন যে তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। তবে একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন যে বিজেপি নেতাদের সত্য প্রকাশ করার প্রচেষ্টাকে দাবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই দাবি করে আসছেন যে বিজেপি নেতারা ভুয়ো খবর ছড়ানোর মাধ্যমে ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা’ বাধানোর চেষ্টা করছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584