মোহনা বিশ্বাস, ওয়েব ডেস্কঃ
পুজোর দিনগুলোয় রাতে চলন্ত সরকারি বাসের উপর কড়া নজরাদারি থাকবে কলকাতা পুলিশের। পুজোর সময় বাসের ভাড়া দিতে নারাজ হন এক দল তরুণ-তরুণী। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না ঘটে, তার জন্যই এবছর কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে লালবাজার।
রাত দশটার পর থেকে চলন্ত সরকারি বাসগুলির উপর পুলিশকর্মীদের কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা। পুজোর সময় যাতে কোনও সরকারি বাসকর্মীকে যাত্রীদের হেনস্থার শিকার না হতে হয়, সেইজন্যই লালবাজারের এই ব্যবস্থা।
পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে, সরকারি বাসের কর্মীদের এই ধরনের হেনস্তা করা দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু পুজোর সময় অনেক যাত্রীই বেশি রাতে এই অপরাধ করে পালিয়ে যায়। এই ব্যাপারে আগেই সিএসটিসি ও ট্রাম কোম্পানির কাছ থেকে অভিযোগ এসেছে। পুজোর সময় বেশি রাত পর্যন্ত বাস চালানো হয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা গেছে, পুজোয় বেশি রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে তরুণ-তরুণীর দল বাসের ভাড়া দিতে রাজি হন না।
আরও পড়ুনঃ পুজোর চারদিন করোনা টিকাকরণ বন্ধ থাকবে কলকাতা পুরসভায়
ভাড়া চাইলে কনডাক্টর বা পরিবহণ কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বচসাও শুরু হয়ে যায়। সেই কারণে পুজোর সময় রাতে সিএসটিসি ও সিটিসির বাসের কর্মীরা বাস চালাতে আর রাজি হন না। কিন্তু এবছর বাসকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য পুজোর রাতে চলন্ত সরকারি বাসগুলির উপর নজর রখবে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ পড়তেই নিজের টুইটার বায়ো থেকে বিজেপির নাম সরালেন সুব্রমনিয়ম স্বামী
লালবাজার সূত্রে খবর, কলকাতায় চলন্ত সরকারি বাসগুলির উপর নজর রাখতে টহলদার ওয়্যারলেস গাড়ির দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে যে, রাত দশটা থেকে যতক্ষণ শহর কলকাতার রাস্তায় সরকারি বাস চলবে, ততক্ষণ যেন চলন্ত অবস্থায় বাসগুলির উপর কড়া নজর রাখা হয়। আর যদি বাসে কোনও অশান্তি বা যাত্রীদের সন্দেহজনক আচরণ চোখে পড়ে তাহলে নজরদারির দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মী যেন বাসটিকে থামিয়ে কনডাক্টর ও চালককে সাহায্য করেন। এমন নির্দেশই দিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584