শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
লকডাউন-এর সময়ে কোনও মানুষ নিয়ম ভঙ্গ করছেন কি না তা দেখতে রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। করোনা সংক্রমণ আটকানোর লক্ষ্যে জনগণের স্বার্থেই অনেক সময় কড়া পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে পুলিশকে। কিন্তু টহল দিতে বেরিয়ে উল্টে পুলিশকেই হেনস্থার শিকার হতে হল বুধবার দুপুরে সল্টলেক পিএনবিতে। উর্দিতে লিপস্টিকের দাগ লাগিয়ে পুলিশকে অপ্রস্তুত অবস্থায় ফেলে দেন ওই অভিযুক্ত তরুণী।
২৪ বছর বয়সী ওই তরুণীর নাম শর্মিষ্ঠা দেবনাথ। ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে ওই তরুণী সহ তার বন্ধু নির্মল বাল্মিকী ও গাড়িরচালক জাভেদ খানকে।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার দুপুরে সল্টলেকের ফাঁকা রাস্তায় ওই অ্যাপ ক্যাবটিকে সাধারণ গতিতে ঘুরতে দেখা যায়। পিকনিক গার্ডেন থেকে গাড়িটি আসছিল। সন্দেহ হওয়ায় গাড়িটিকে আটকে কোথা থেকে আসছেন, কোথায় যাবেন, গাড়িচালককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছিলেন এক পুলিশকর্মী। পুলিশের দাবি, কোনও প্ররোচনা ছাড়াই গাড়িতে থাকা তরুণী পুলিশকর্মীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তিনি বলতে থাকেন, তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস এবং ওষুধ আনতে যাচ্ছেন। যদিও পুলিশ চাইলেও কোন ওষুধের প্রেসক্রিপশন বা বাজারের ফর্দ তিনি দেখাতে পারেননি।
এছাড়া খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে যে অ্যাপ ক্যাব করে ওই তরুণী এবং তার বন্ধু যাচ্ছিলেন, সেই সংস্থা আপাতত লকডাউনের জন্য পরিষেবা বন্ধ রেখেছে। ব্যক্তিগত পরিচিতি খাটিয়ে ওই চালককে নিয়ে বেরিয়েছিলেন ওই তরুণী ও তাঁর বন্ধু।
অভিযুক্ত ওই মহিলাকে রাস্তায় দেখে পুলিশ বাড়ি যাওয়ার জন্য বলেন। সেই সময় ওই তরুণী পুলিশের কথা না শুনে উল্টে গালিগালাজ করতে শুরু করেন।
কথায় কথায় বচসা গড়ায় হাতাহাতি পর্যন্ত।অকারণে বেরোনোর কারণ জিজ্ঞাসা করলে একদিকে যেমন ওই তরুণী কোন উত্তর দিতে পারেননি, অন্যদিকে হঠাৎ করে এগিয়ে এসে সাদা উর্দিধারী পুলিশের গায়ে ‘এই নাও করোনা বলে’ মুখ ঘষে দেন । উড়িতে লিপস্টিকের দাগ লেগে যায় দৃশ্যত অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন ওই পুলিশ কর্মী এরপরে তিনজনকে ধরে বিধাননগর উত্তর থানায় নিয়ে আসা হয়”। তারপরেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584