কন্যাশ্রী প্রচারের ঝলমলে আলোর পাশে কুপি হাতে দাঁড়িয়ে কোয়েল

0
405

নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাটঃ

konashree campaign join koyel
পরিবারের সাথে কোয়েল।নিজস্ব চিত্র

খিদিরপুর হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।অর্থাভাবে ইতি টানতে হয়েছে পড়াশোনায়।মায়ের সঙ্গে বিড়ি না বাঁধলে দু’বেলা ভাতটুকুও জোটে না।মাকে সাহায্য করতে গিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া হয়ে ওঠেনি বালুরঘাটের কোয়েল দের।ন্যূনতম হাজিরা না থাকায় বছর খানেক আগে তাড়িয়ে দিয়েছে স্কুল থেকেও।

বালুরঘাটের খিদিরপুরের বাসিন্দা কোয়েল দে (১৫)।বছর দশেক আগে মৃত্যু হয় বাবা হরিপদ দের। তারপর থেকেই তার মা দাদা ও বোনের অভাবের সংসার।মা ঊষাবালা মহন্ত দে বিড়ি বেঁধে সংসার চালান। মাকে সেই কাজে সাহায্য করে কোয়েল।এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি তাদের ঘরে।তাই কুপির আলোয় রাতেও বিড়ি বাঁধেন।দাদা রাজু দে (১৭) কর্মসূত্রে বাইরে থাকে।অর্থাভাবে বোন রাখি দে(১২) এখনও পর্যন্ত স্কুলে যায়নি।দিনে ১২০০ বিড়ি বাঁধতে পারেন।দিনে রোজগার গড়ে ১০০ টাকা।মা বিধবা ভাতা পান।তবে এই দিয়ে সংসার চলে না।তাই বিড়ি বেঁধে মাকে সাহায্য করে সে।সেইজন্য রোজ স্কুল যেতে পারে না।নিয়মানুযায়ী পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি তাকে।স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে তার।মেয়েদের পড়াশোনার জন্য রয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের একগুচ্ছ প্রকল্প।তবে সেগুলির কোনও সুবিধাই তারা পায়নি বলে অভিযোগ।একটু সাহায্য পেলে তারা পড়াশোনা করতে চায়। সরকারি সাহায্য পেলে বা আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল হলে স্কুলে যেতে রাজি।পড়াশোনা করতেও রাজি দুই বোন।এবিষয়ে কোয়েল দে বলে,”মাকে বিড়ি বাঁধাতে সাহায্য করি। তাই রোজ স্কুলে যেতে পারতাম না।সেইজন্য স্কুলে যেতে বারণ করেছে হেডমাস্টার।” সরকারি সাহায্য পেলে সে ও তার বোন আবার পড়াশোনা করতে চায়।যেতে চায় স্কুলেও।অন্যদিকে কোয়েলের মা বলেন, “ছেলেমেয়েকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।”

আরও পড়ুন: রাস্তার ধারে গাড়ি, বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here