গীতাশ্রী মুখোপাধ্যায়, জলপাইগুড়িঃ
মালবাজার ব্লক ভেঙ্গে ক্রান্তি ব্লকের সিলমোহর পড়ল ক্যাবিনেটে। ক্যাবিনেটে পাশ হল ক্রান্তি ব্লক। ক্রান্তিকে নতুন ব্লক ঘোষণার খবর চাউর হতেই খুশি ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত জুড়ে।
সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে এসে মাল ব্লক ভেঙ্গে ক্রান্তি ব্লক গড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মোতাবেক এদিন ক্রান্তি ব্লক গঠনের সরকারি প্রক্রিয়া এগিয়ে গেল আরেক ধাপ।জানা গেছে মাল ব্লকের ক্রান্তি, চাপাডাঙ্গা, রাজাডাঙ্গা, চেংমারী, লাটাগুড়ি ও মৌলানি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নিয়ে আলাদা ক্রান্তি ব্লক ঘোষণার দাবি দীর্ঘদিনের।
ডান থেকে বাম সমস্ত রাজনৈতিক দলই নির্বাচনের আগে এই ক্রান্তি ব্লকের দাবি নিয়ে নির্বাচনের অবতীর্ণ হয়। চলে প্রতিশ্রুতি বিনিময়ের পালা। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও এই ব্লক ঘোষণা নিয়ে সরকারি কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
অবশেষে গত ডিসেম্বর মাসে জলপাইগুড়িতে জনসভায় এসে ক্রান্তি ব্লক ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই ক্রান্তিকে ব্লক ঘোষণার তোড়জোড় শুরু হয়।
আরও পড়ুনঃ শুরু হল গঙ্গাসাগর মেলা, ভিড় এড়াতে ই-স্নানের ব্যবস্থা
গত মাসে মাল পঞ্চায়েত সমিতির হলঘরে মালের বিধায়ক, মালের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ সভাপতি, সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং প্রস্তাবিত ক্রান্তি ব্লকের ছয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদেরকে নিয়ে বৈঠক করেন মালের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, ব্লক গঠনের বিষয়ে।
আরও পড়ুনঃ রানাঘাটে সিএএ নিয়ে বিজেপিকে তোপ মমতার
প্রস্তাবিত ক্রান্তি ব্লকের ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমানা, জনসংখ্যা, বিদ্যালয়, এসএসকে, এমএসকে, হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সমস্ত কিছুরই রিপোর্ট তৈরি করে পাঠানো হয় রাজ্যে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সরকারি বিভিন্ন কাজে প্রত্যন্ত চাপাডাঙ্গা চেংমারী রাজাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দাদের ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে মাল শহরে যেতে হয়।
প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য দীর্ঘদিন থেকেই ক্রান্তি ব্লক ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছিলেন সাধারণ মানুষ। মালের বিধায়ক বলু চিক বরাইক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি ক্রান্তিকে যাতে আলাদা ব্লক ঘোষণা করা হয় সেই দাবি জানিয়ে ছিলেন বারংবার। সেই দাবি মতোই মুখ্যমন্ত্রী এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584