ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্টঃ
আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত ভারতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াবে ১০ লক্ষ ,আর সেই জাতীয় বিপর্যয়ের জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে মোদী সরকারই; বক্তব্য মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটের। ভারতের করোনা বিপর্যয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই দায়ী করেছিল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। ব্রিটেন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্সের সংবাদপত্রে তুমুল ভর্ৎসিত হন মোদী। এবার মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটও মোদীকে তীব্র কটাক্ষ করল করোনা পরিস্থিতি নিয়ে।
ভারত যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ এবং তার জন্য দায়ী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার, সে বিষয়ে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক মিডিয়াই সরব হয়েছে। এবার বিশ্ব বিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেট তাদের একটি সম্পাদকীয়তেও তীব্র সমালোচনা করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকারের।
ল্যানসেটের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে ,মোদী সরকার করোনা অতিমারীকে নিয়ন্ত্রণের বদলে টুইটারে সরকারের নিন্দার মোকাবিলায় বেশি ব্যস্ত। সরকারের সমালোচনার জবাব দেওয়াকেই প্রাধান্য দিয়েছে ভারত সরকার। মোদি সরকারের সমালোচনাকে বন্ধ করতে বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই সরকারের, কিন্তু ভেঙে পড়েছে দেশের গণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সেদিকে সরকারের দৃষ্টি নেই, বলা হয়েছে ল্যানসেটের সম্পাদকীয়তে।
আরও পড়ুনঃ অক্সিজেন সরবরাহে নজর রাখতে ১২সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন সুপ্রিম কোর্টের
এই সম্পাদকীয়তে দ্য ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স এন্ড ইভ্যালুয়েশনের দেওয়া যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তা ভয়াবহ। ওই তথ্যে সরকারকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াবে ১০ লক্ষ। আর সেই জাতীয় বিপর্যয়ের জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে মোদী সরকার। আগাম সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও সরকার সুপার স্প্রেডার জমায়েত, ধর্মীয় উৎসবে প্রায় ৫০ লক্ষ পুণ্যার্থীর অংশগ্রহণ, বিশাল বিশাল নির্বাচনী সভাকে অনুমতি দিয়েছে। করোনা মোকাবিলায় পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে মোদি সরকার।
আরও পড়ুনঃ করোনা নিরাময়ে গোমূত্র পানের পরামর্শ উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়কের
একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অভাব নিয়ে সরকারের গাফিলতিকে তুমুল সমালোচনা করেছে তারা। সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, “ভারতবাসী চরম অসহায় অবস্থার মধ্যে রয়েছে। দেশের হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসকরা ক্লান্ত-সংক্রমিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বত্র ভারতের দুর্দশার ছবি, আকাল অক্সিজেনের , বেড এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীর জন্য হাহাকার করছেন মানুষ। মার্চে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে, তখন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিবৃতি দিচ্ছেন, অতিমারী শেষের পথে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584