সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
দেড় মাস পূর্বে শুরু হওয়া সৌন্দর্যায়নের প্রকল্প আজ সকালে ভেঙে পড়ল।১১৭ নং জাতীয় সড়কে ধস নেমে হুগলি নদীতে তলিয়ে গেল এই সরকারি প্রকল্প।
জানা যায়, ডায়মন্ড হারবারে হুগলি নদীত পাড়ে সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হয়েছিল কয়েক মাস আগে ১২০ মিটার জায়গায় এই কাজ শুরু হয়।আজ সকালে হঠাৎই নদীর পাড় সংলগ্ন জাতীয় সড়কে প্রায় ৫০ মিটার রাস্তা ধসে নদী গর্ভে চলে যায়।
এই ধসে যাওয়া রাস্তাটি কলকাতা থেকে নামখানা,বকখালি কাকদ্বীপ যাওয়ার প্রধান রাস্তা।গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় ধস নামার কারনে বন্ধ সড়কপথের পরিষেবা।
এই ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।আসেন স্থানীয় বিধায়ক দীপক হালদার, মহকুমা শাসক কৌশিক সাহা।
স্থানীয় টোট চালক সুজয় হালাদার, নিউজফ্রন্ট প্রতিনিধিকে জানায় যে, সে টোটো নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তা ঠিক ছিল ফেরার পথে দেখে ধস।
জানা যায় যে,সৌন্দর্যায়নের এই প্রকল্পের বরাদ্দ ছিল ২৫ কোটি টাকা,এরমধ্যে প্রথম দফায় ১২ কোটি টাকার কাজ শুরু হয়।
২০০২ সালে হুগলি নদীর একই স্থানে ধস নামে এরপর ২০০৭ এবং আজকে।বার বার ধসে যাওয়া এলাকায় কেন সৌন্দর্যায়নের এতো টাকার প্রকল্প বরাদ্দ হল উঠছে প্রশ্ন।
বিধানসভার সিপিএম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে পৌঁছে, প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থে কাটমানির অভিযোগ তুলেছেন।একই সাথে তিনি মাটি পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে যুবনেতা তথা ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন।
অপরদিকে দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার সভাধিপতি সামিমা সেখ,সুজন বাবুর তোলার অভিযোগ নস্যাৎ করে তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন কাটমানি ইস্যুতে।
রাজনৈতিক এই টানা পড়নের পাশাপাশি এই ধসের কারনে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জনজীবন।ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১০,৫,৬,৭ নং ওয়ার্ডের মানুষের আতঙ্কে রয়েছেন।যদি পুরো প্রকল্পের ধস নামে তবে এলাকা জলমগ্ন হয়ে যাবে।রাস্তার অধিকাংশটা ভেঙে পড়ে হুগলি নদীর জলে এমনকি বিদ্যুতের খুঁটিও ভেঙে পড়ে।পর্যটকদের একাংশ এই ধসে আটকে গেছেন।
আরও পড়ুনঃ রাজনৈতিক হিংসায় ফের উত্তপ্ত কোচবিহার,আহত ২
আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করবার কথা প্রশাসনিক ভাবে ঘোষিত হলেও কখন থেকে স্বাভাবিক যান চলাচল শুরু হয় সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584