নিজস্ব প্রতিবেদক,ইসলামপুরঃডিজিটাল ইন্ডিয়ার ঝকঝকে উন্নয়ন আর নির্মল বাংলার ঢক্কানিনাদের এসময়ে দাঁড়িয়ে ইসলামপুর ব্লকের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে গেলেই বোঝা যায় প্রদীপের তলার অন্ধকার কতো গাঢ়।এ পঞ্চায়েত এলাকার বহু পরিবারকেই প্রকৃতির ডাকে ছুটতে হয় খোলা মাঠে।নিউজ ফ্রন্টের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে জানা যায় যে,পঞ্চায়েতে নয়শো টাকা জমা দিয়ে সরকারি প্রকল্পের শৌচাগার জোটেনি গত দুই বছরে।এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করেও আশানুরূপ কোন সদুত্তর মেলেনি।স্থানীয় সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানাগেছে যে,গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ ডিমটি,কাঁদাখোওয়া,বাঁশবাড়ি সহ একাধিক গ্রামে শতকরা আশি শতাংশ পরিবারই শৌচাগারবিহীন।
একদিকে সম্ভ্রম লাঞ্ছিত হচ্ছে অপরদিকে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের তরফে প্রধানের স্বামী বিজয় সিংহ আমাদের প্রতিনিধিকে জানান যে,দালাল চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে অনেকের টাকা খোয়া গেছে এই প্রকল্পে।যারা প্রতারিত হয়েছে তারা কেউ টাকা জমা দেওয়ার বৈধ রিসিভ কপি দেখাতে পারেনি কিন্তু সরাসরি দপ্তরে গিয়ে টাকা জমা দিয়ে রিসিভ কপি নিয়েছে তাদের তাঁরা শৌচাগার পেয়েছেন।
শিয়রে ভোট তাই এই নিয়ে জমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজাও। ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসীও।ইসলামপুর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি হাজী মুজাফফর হোসেন জানান যে,নামেই উন্নয়ন আসলে বাসিন্দারা নুন্যতম পরিষেবাও পায়নি।ইসলামপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস জানান যে,উন্নয়ন থমকে আছে এই পঞ্চায়েতে।বিগত পাঁচ বছরে আদৌ কোনও কাজ হয়নি।
রাজনৈতিক চাপানউতোরের মাঝেই বঞ্চিত মানুষ।মানুষের নূন্যতম প্রয়োজনও তাই আজ ভোটের বিষয় হয়ে ওঠে।আর বড়দের দেখাদেখি ছোটরাও অস্বাস্থ্যকর বিধিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে এ দায় কার?
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584